রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্টের ব্যাপারে ইসলামে আছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা 

রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্টের ব্যাপারে ইসলামে আছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা 

অনলাইন ডেস্ক

রাষ্ট্র যেমন নাগরিক হিসেবে আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়, তেমনি নাগরিক হিসেবে আমাদেরও দায়িত্ব দেশের বা রাষ্ট্রের সম্পদের সুরক্ষা করা। রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করা গুরুতর অপরাধ। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করা প্রত্যেক মুমিনের ঈমানী দায়িত্ব। কেননা এটি পবিত্র আমানত।

প্রতিটি নাগরিকের এ আমানত রক্ষা করা উচিৎ।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়ে বলেন যে, তোমাদের আমানতগুলো প্রাপকের কাছে পৌছে দাও। ’ (সুরা নিসা : আয়াত ৫৮)।

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘লা ঈমানা, লিমান লা আমানাতা লা’।

অর্থ- ‘যার আমানতদারী নেই, তার ঈমান নেই’(মুসনাদে আহমদ)।  

রাষ্ট্রের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য, রাষ্ট্রীয় সম্পদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব সম্পর্কে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল। প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। (সহীহ বুখারী)।  
রাষ্ট্রীয় গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, পাহাড়, মাটি, বন, বালি, আরো যে কোন সম্পদ যথাযথ ব্যবহার না করলে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপচয় হবে। অপচয়কারী শয়তানের ভাই। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, ‘নিশ্চয় অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই’। (বনী ঈসরাইল: আয়াত ২৭)।

রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ করা কবিরা গোনাহ। এর ফলে কিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। মহান রাব্বুল আলামীন বলেন, ‘ যারা আত্মসাৎ করে, তারা কিয়ামতের দিন আত্মসাৎকৃত সম্পদসহ উপস্থিত হবে। আর প্রত্যেকে তার উপার্জিনের ফল ভোগ করবে’। (আল কোরআন)।

রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, আল্লাহর কসম! যারা রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষা করবেনা, আমানতের খেয়ানত করবে, কিয়ামতের দিন তারা উট কাঁধে নিয়ে উঠবে। সে চিৎকার করে আমার কাছে সাহায্য চাইবে, কিন্তু সে দিন আমি তার কোনো সাহায্য করবো না।

আলোচ্য কোরআন ও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করা মুমিনের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য। এটি একটি বিশাল আমানত। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সকলকে, রাষ্ট্রের সম্পদ রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। আমীন!


news24bd.tv/আইএইচ