মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীল পরতিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সীমান্তে সামরিক অবস্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে আক্রমণ চালানো হচ্ছে।
ইসমাইল হানিয়া এবং হিজবুল্লার একজন শীর্ষ নেতার নিহত হওয়ার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ছে। হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সিনিয়র কমান্ডার নিহত হওয়ার পর শক্তিশালী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সঙ্গে ইসরায়েলের বড় ধরনের সংঘাতের শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, টিকিট পাওয়া মাত্র তারা যেন লেবানন ছেড়ে যান।
মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে বৈরুতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস তার নাগরিকদের ‘যেকোনও টিকিট পাওয়া মাত্র’ লেবানন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির একই ধরনের সতর্কতার পর এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের সরাসরি হামলার নির্দেশ দিয়েছে ইরান। গত বুধবার তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে দেশটি। বৈরুতে ইসরায়েল হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যা করার কয়েক ঘণ্টা পর তেহরানে হানিয়াকে হত্যা করা হয়।
অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কেন্দ্রে করে লেবানন-ভিত্তিক ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও এই অবস্থায় বড় ধরনের আক্রমণ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হিজবুল্লাহ স্থানীয় সময় শনিবার (৩ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উত্তর ইসরায়েলের বেইট হিলেল শহরে কয়েক ডজন রকেট নিক্ষেপ করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , হিজবুল্লাহর নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
News24bd.tv/ এসএম
সূত্র: বিবিসি