সরকার পতনের এক দফা দাবিতে কাল থেকে অসহযোগের ডাক

দুপুর দেড়টা থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন।

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে কাল থেকে অসহযোগের ডাক

অনলাইন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দিতে আলটিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার সমাবেশে এই দাবি তুলে ধরেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

এ সময় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হবে।

আর এক মিনিটও এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে না। এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ। ’

তিনি বলেন, ‌‘আমরা আর তাদের কাছে কী বিচার চাইব? তারাই তো খুনি। আমাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

আপনাদের আন্দোলনের কারণে আমরা ছাড়া পেয়েছি। আজকেও গুলি চলেছে। এই পরিস্থিতিতে এক দফা ঘোষণা করছি। শেখ হাসিনা বলেছেন, আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে। তিনি আগেই বুঝেছেন, দরজা রাখার সময় হয়েছে। আমরা আসছি। এই যে খুন-হত্যা হয়েছে, এজন্য তাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে। শুধু শেখ হাসিনা নন, সব মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। ’

নাহিদ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আমরা খুব দ্রুতই ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের জন্য সর্বস্তরের নাগরিক, ছাত্রসংগঠন ও সব পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মিলে সম্মিলিত মোর্চা ঘোষণা করব। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জাতীয় রূপরেখা আমরা সবার সামনে হাজির করব। ’

এই সমন্বয়ক বলেন, ‘যদি ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ জারি হয় আমরা মেনে নেব না। এখন ছাত্র-জনতার এগিয়ে আসতে হবে। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে অসহযোগ আন্দোলন পালন করবেন। সরকার যদি জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, এটা জনগণ মানবে না। আপনারা যদি অস্ত্র চালান তাহলে প্রতিরোধ হবে। আমরা সব গণহত্যার বিচার করব বাংলার মাটিতে। ’

এক দফা দাবিতে রোববার থেকে সারা দেশে সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল থেকে সারা দেশে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন শুরু করব। এটি সফল করতে দেশের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার প্রতি আহবান জানাই।

এর আগে দুপুর দেড়টা থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন। ক্ষণে ক্ষণে বাড়তে থাকে সেই জনস্রোত। এক পর্যায়ে শহীদ মিনার এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

news24bd.tv/DHL