ভেনিজুয়েলার নির্বাচন: চ্যালেঞ্জের মুখে মাদুরো

সংগৃহীত ছবি

ভেনিজুয়েলার নির্বাচন: চ্যালেঞ্জের মুখে মাদুরো

অনলাইন ডেস্ক

ভেনিজুয়েলায় জাতীয় নির্বাচন চলছে। দেশটির ক্ষমতাসীন সমাজতান্ত্রিক পিএসইউভি পার্টি গত ২৫ বছরে হয়তো এবারের নির্বাচনেই এতো বেশি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। ২০১৩ সালে হুগো শাভেজের মৃত্যুর পরে থেকে এখন পর্যন্ত তৃতীয়বারের মত ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন সমাজতান্ত্রিক পিএসইউভি পার্টির নিকোলাস মাদুরো। খবর বিবিসির।

এবারের নির্বাচনে মাদুরোর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন অ্যাডমুন্ডো গনজালেস। তিনি একজন সাবেক কূটনীতিক। বিরোধী দলগুলোর একটি জোট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তাঁকে সমর্থন দিয়েছে।

বিভিন্ন নির্বাচনী জরিপ থেকে দেখা যাচ্ছে, অ্যাডমুন্ডো গনজালেস এবারের নির্বাচনে এগিয়ে আছেন।

কিন্তু আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের মত এবারের নির্বাচনেও প্রচুর কারচুপি করবেন মাদুরো। কারণ তিনি বলেছেন, যেভাবেই হউক তিনি এবারের নির্বাচনেও জিততে চান। তাই আশঙ্কা করাই যায়, ফলাফল আশানরূপ না হলে মাদুরো এবারের নির্বাচনেও কারচুপি করবেন।

রোববার (২৮ জুলাই) রাজধানী কারাকাসে ভোট দেওয়ার পর মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটির জাতীয় নির্বাচন কাউন্সিল (সিএনই) দ্বারা ঘোষিত ফলাফলগুলোকে সম্মান জানানো হবে। তবে ভেনিজুয়েলার নির্বাচন পরিচালনা করা সংস্থা সিএনই এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে ক্ষমতাসীনদের আধিপত্য রয়েছে। সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট অ্যালভিস আমরোসো মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত।

বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য ভোট শুরুর আগেই স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে কেন্দ্রগুলোতে দলে দলে আসতে শুরু করেছিলেন ভেনিজুয়েলার মানুষ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কারাকাসের একটি ভোটকেন্দ্রর দরজা খোলার জন্য বাইরে অপেক্ষারত ভোটারদের সারিগুলোতে উত্তেজনা দেখা গিয়েছিল। নির্বাচন উপলক্ষে দেশটিতে বর্তমানে সীমিত সংখ্যক স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষক রয়েছেন। এর মধ্যে জাতিসংঘ থেকে চারজন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কার্টার সেন্টার থেকে একটি ছোট কারিগরি দল রয়েছে।

news24bd.tv/জেপি/DHL

এই রকম আরও টপিক