পদ্মা সেতুতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

পদ্মা সেতু।

পদ্মা সেতুতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

অনলাইন ডেস্ক

পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় গত কয়েকদিন ধরে সর্বোচ্চ সর্তকতায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে দুর্বৃত্তরা রাজধানীসহ দেশব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও পদ্মা সেতুতে সুবিধা করতে পারেনি তারা।

স্বাভাবিক সময়ে এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন গড়ে যেখানে ১৯ হাজার ১৬৮ যান পারাপার হতো, সেখানে এখন প্রতিদিন গড়ে পারাপার হচ্ছে মাত্র তিন হাজার যানবাহন। প্রতিদিন টোল আদায় হচ্ছে ৪০ লাখ টাকার মতো।

অথচ স্বাভাবিক সময়ে সেতুটি থেকে গড় টোল আদায় হতো ২ কোটি ৩২ লাখ ১৪ হাজার ২২ টাকা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে পদ্মা সেতু থেকে গড় রাজস্ব আয় প্রায় ২ কোটি টাকা কমে গেছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সারা দেশের মতো পদ্মা সেতুতেও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মাওয়া প্রান্তে সেতুর উত্তর থানার কাছে ব্যারিকেড দেয়ার চেষ্টা করে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।

এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। আন্দোলনকারীদের ইটপাটকেলে থানা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এরপর আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেয় পদ্মা সেতুর মাওয়া চৌরাস্তার গোল চত্ত্বরে। পরে সেখান থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় তাদের। এরপর আর কোনো চ্যালেঞ্জ না এলেও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পরদিন শুক্রবার (১৯ জুলাই) সেতুতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। শনিবার (২০ জুলাই) থেকে সেতুর সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেতুর নিরাপত্তায় কাছেই স্থাপন করা হয়েছে শেখ রাসেল সেনানিবাস।

এছাড়া পূর্ণাঙ্গ ক্যান্টনমেন্ট রয়েছে জাজিরায়। মাওয়া প্রান্তেও রয়েছে শেখ রাসেল সেনানিবাসের একটা অংশ। সেতুর স্থলভাগ ছাড়াও নৌপথেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জলে ও স্থলে সেতুর সবখানেই সবরকম পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে সেনাবাহিনী।

এদিকে পদ্মা সেতুতে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে বলে গুজব ছাড়ানো হচ্ছে। তবে সেনাবাহিনী বলছে, টোল প্লাজা তো দূরের কথা দুর্বৃত্তরা সেতুর ধারেকাছেও যেতে পারেনি। ফলে এক মিনিটের জন্যও বন্ধ হয়নি সেতুর যান চলাচল। অবশ্য কারফিউর কারণে এখন ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর আগে সিডিউল অনুযায়ী সব ট্রেন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করেছে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে কারফিউর কারণে খাদ্যবাহী ট্রাক, পিকাপভ্যান, কাভার্ডভ্যান ও অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন জরুরি যান চলাচল করছে। কিছু মোটারসাইকেলও চলছে। নিরাপত্তার স্বার্থে যানবাহনগুলো তল্লাশি করা হচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন জানান, বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায়ও পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

news24bd.tv/DHL