জুমার নামাজ ছেড়ে দিলে যে শাস্তি পেতে হবে

জুমার নামাজ ছেড়ে দিলে যে শাস্তি পেতে হবে

অনলাইন ডেস্ক

আজ শুক্রবার। আল্লাহ তাআলা জগৎ সৃষ্টির পূর্ণতা দান করেছিলেন এই দিনে। এই দিনেই হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-কে জান্নাতে একত্র করেছিলেন এবং এই দিনে মুসলিম উম্মাহ সাপ্তাহিক ঈদ ও ইবাদত উপলক্ষে মসজিদে একত্র হয় বলে দিনটাকে ইয়াওমুল জুমাআ বা জুমার দিন বলা হয়।

প্রত্যেক সাবালক জ্ঞানসম্পন্ন পুরুষের জন্য জুমার নামাজ জামায়াতে আদায় করা ফরজ।

জুমার নামাজের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ‘সুরাতুল জুমুআ’ নাজিল করেছেন।

আল্লাহ তাআলা ঈমানদার বান্দাকে লক্ষ্য করে বলেন, হে ঈমানদারগণ! জুমার দিন যখন নামাজের জন্য (আজানের মাধ্যমে) আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা দ্রুত আল্লাহর স্মরণে ছুটে চল এবং বেচা-কেনা বন্ধ করে দাও। এটি তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা উপলব্দি করতে পার। ’ (সুরা জুমুআ: আয়াত ৯)।

এছাড়া জুমার নামাজ ত্যাগকারীর ব্যাপারে হাদিসে ভয়াবহ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা বিনা ওজরে ও ইচ্ছা করে ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তাআলা প ব্যক্তির অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। (সহিহ তিরমিজি: ৫০০; ইবনু মাজাহ: ১১২৫)।

আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোনো ব্যক্তি এবং কুফর ও শিরকের মধ্যে ব্যবধান শুধু নামাজ না পড়া। যে নামাজ ছেড়ে দিল সে কাফের হয়ে গেল (কাফেরের মতো কাজ করল)। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৮২)

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পর পর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পিছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)।

সুতরাং, মুমিন মুসলমানের উচিত জুমার নামাজ গুরুত্বসহ আদায় করা এবং জুমার খোতবা মনোযোগের সঙ্গে শোনা। একান্তই যদি কেউ নামাজ না পায় তবে জোহরের নামাজ আদায় করে নেয়া।

news24bd.tv/IH/SHS