ত্রাণ পৌঁছানোর ভাসমান বন্দর ব্যবহার করে জিম্মি উদ্ধার ইসরায়েলের

গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ভাসমান বন্দর।

ত্রাণ পৌঁছানোর ভাসমান বন্দর ব্যবহার করে জিম্মি উদ্ধার ইসরায়েলের

অনলাইন ডেস্ক

গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভাসমান বন্দর তৈরি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু শনিবারের জিম্মি উদ্ধারের ঘটনায় ওই বন্দর ব্যবহার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এমন খবর সামনে আসার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইসরায়েলি অভিযানের ফুটেজ প্রকাশের পর সেই খবর সত্য বলে প্রমাণ হচ্ছে।

জানা গেছে, চারজন জিম্মিকে উদ্ধারে শনিবার গাজায় যে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, তাতে ওই ভাসমান বন্দর ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন ২০ লাখ মানুষের খাবার পৌঁছে দিতে গাজা উপকূলে এই ভাসমান বন্দর নির্মাণ করা হয়। এক হাজারের বেশি মার্কিন সেনা এই কাজ শেষ করে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অখ্যাত একটি প্রতিষ্ঠান ফগবো এই বন্দরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে।

ফগবোর নেতৃত্বে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দুজন সাবেক কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই বলে আসছে, সেনা সদস্যরা বন্দর নির্মাণে কাজ করলেও তারা গাজার মাটিতে পা দেবে না।

তবে গাজায় শনিবারের অভিযান এক ভিন্ন বাস্তবতার মুখে দাঁড় করিয়েছে বিশ্ববাসীকে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই অভিযান চালায়।

সিবিএস নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুজন মার্কিন কর্মকর্তা। তবে একজন মার্কিন কর্মকর্তার দাবি, ওই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেননি।

ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে চারজন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময় গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে ২১০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

সিবিএস নিউজ বলছে, শনিবারের ওই অভিযানে ইসরায়েলকে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা এ বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তবে অভিযানের স্পর্শকাতর বিস্তারিত তথ্য দেননি ওই কর্মকর্তারা।

উদ্ধার অভিযানে ইসরায়েলের একজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটি। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনায় অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, সমুদ্রসৈকত থেকে উড্ডয়ন করছে আইডিএফ’র একটি হেলিকপ্টার। আর পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা ভাসমান বন্দর।

দুজন মার্কিন কর্মকর্তা সিবিএস নিউজকে বলেছেন, আইডিএফ’র অভিযানে মার্কিন ভাসমান বন্দর ব্যবহার করা হয়নি। এই বন্দরটি কেবল মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই তৈরি করা হয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তা জানান, বন্দরের দক্ষিণ অংশে সৈকতে ওই হেলিকপ্টার অবতরণ করেছে। তবে হেলিকপ্টারটি বন্দরের ঘের দেওয়া এলাকার বাইরে নেমেছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। পরে এক বিবৃতিতে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টকম জানায়, জিম্মি উদ্ধারে বন্দর, অস্ত্রশস্ত্র, সেনাসদস্য বা অন্য কিছু ব্যবহার করা হয়নি।

news24bd.tv/DHL