ঝিনাইদহে তীব্র দাবদাহে সবজির বাজার ঊর্ধ্বমুখী

সংগৃহীত ছবি

ঝিনাইদহে তীব্র দাবদাহে সবজির বাজার ঊর্ধ্বমুখী

শেখ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ:

ঝিনাইদহে তীব্র দাবদাহের কারণে সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। বাজার ঘুরে দেখা যায়, গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ১৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, পিঁয়াজ ৭০ টাকা, আলু ৫০ টাকা, পাকা মিস্টি কুমড়া ৩৫ টাকা কেজি, পুইশাক ২০ টাকা আটি, কাঁচাকলা ২০ টাকা হালি, চাল কুমড়ার জালি ৪০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া শুকনা মরিচ ৫০০ টাকা, কচুরলতি ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, নাজনার ডাটা ১২০ টাকা এবং কাঁচা মিঠে আম ১২০ টাকা, টক আম ৬০ টাকা, শাকের ডাটা ২০ টাকা আটি, চায়না লেবু ২৪ টাকা ও দেশী লেবু ৪০ টাকা হালি, লাল শাক ও সাদা শাক ৮ টাকা আটি, বাঁধাকপি ৩০ টাকা পিস, টমেটো ৪০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, উসি ৫০ টাকা, ঘেটকোল ২৫ টাকা আটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ওয়াবদা বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী আশাদুল মন্ডল জানান, কয়েকদিনের অতিরিক্ত গরমের কারণে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।

এর মূল কারণ অতিরিক্ত গরমে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খেত থেকে ফসল তুলতে পারছে না কৃষকরা। আবার ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়া ঠেকাতে বারবার সেচ দেওয়া লাগছে জমিতে, যে কারণে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। চলতি তীব্র গরমে শহরে সবজির সরবরাহ কিছুটা কম, যার প্রভাব পড়েছে বাজারে।

আরেব ব্যবসায়ী ফজের আলী বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে যখন যেমন দামে মাল কিনে আনি, তখন সে রকম দামেই খুচরা বাজারে বিক্রি করি। এখন কিনতে দাম বেশি পড়ছে, তাই বিক্রি করতেও একটু বেশি দাম রাখতে হচ্ছে। তবে বৃষ্টি হলেই কিছু দিনের মধ্যেই সবজির দাম আবার স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে বলে সদর উপজেলার বাড়ি বাথান গ্রামের সবজি চাষী মীর সেলিম হোসেন জানান।

news24bd.tv/কেআই

এই রকম আরও টপিক