বিসিক শিল্পনগরীর ব্রিজে ফাটল, ভোগান্তিতে ব্যবসায়ীরা

সংগৃহীত ছবি

বিসিক শিল্পনগরীর ব্রিজে ফাটল, ভোগান্তিতে ব্যবসায়ীরা

অনলাইন ডেস্ক

গোপালগঞ্জ শহরের মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত বিসিক ব্রিজটির ফাটল ধরে ও ঢালাই খসে পড়ে রড বেরিয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বাঁশের বেরিকেড দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে এটি। এতে ১১ দিন ধরে চরম বিপাকে বিসিক শিল্পনগরীর ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

গত ৫ মে হঠাৎই ফাটল দেখা দেয় বিসিক শিল্পনগরীর সামনে শহরের সৌন্দর্য বর্ধনকারী আর্চ আকৃতির ব্রিজটির পূর্ব প্রান্তে।

শুধু ফাটলই নয়, ঢালাই খসে রডও বেরিয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে গর্তেরও। পরদিন বাঁশের বেরিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

মধুমতি নদীর পশ্চিম তীরের বাসিন্দা মো. চঞ্চল মোল্লা বলেন, ‘এই ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ও শত শত যানবাহন চলাচল করে।

তাদেরকে এখন প্রায় ১ কিলোমিটার ঘুরে স্কুল, কলেজ, অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন কাজে-কর্মে যেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় বেকায়দায় রয়েছেন মধুমতির পশ্চিম তীরের ২০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা। ’

রিকশাচালক মো. রকিত বিশ্বাস বলেন, ব্রিজটি বন্ধ করে দেয়ায় ১ কিলোমিটার ঘুরতে হচ্ছে; কিন্তু কোন যাত্রীই ভাড়া বেশি দিচ্ছেন না। তাতে এই সড়কে যারা যানবাহন চালাচ্ছেন তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ব্রিজটি উন্মুক্ত করে হালকা যানবাহন চালানোর ব্যবস্থা করে দেয়ার দাবি জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে ব্রিজটি পরিদর্শন করেন পৌরসভা ও এলজিইডির কর্তা ব্যক্তিরা।

গোপালগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এহসানুল হক বলেন, ‘২০১১-২০১২ অর্থবছরে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৩ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৭ ফুট প্রশস্তের ব্রিজটি স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্মাণ করে পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করে এলজিইডি। তারপর থেকে এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদেরই। তারপরও জনস্বার্থে আমরা পৌরসভাকে পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতায় জন্য প্রস্তুত আছি। ’

গোপালগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, ‘ফাটল দেখা দেয়ার পর আমরা ব্রিজটি বন্ধ করে দিয়েছি। যাতে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা না ঘটে। পৌর মেয়রের সঙ্গে আলাপ করে যত দ্রুত সম্ভব মেরামত করে ব্রিজটি উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। ’

news24bd.tv/DHL