সদ্য অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ফল স্থগিত চেয়ে আদালতে রিট আবেদন করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নায়িকা নিপুণ আক্তার। রিটে মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে যুক্তি- পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন নিপুণসহ বর্তমান কমিটির সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যকরী সভা শেষে সংগঠনের সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব জানান, নিপুণের সদস্য পদ বাতিল হতে পারে।
তায়েব জানান, নিপুণের সদস্য পদ বাতিল হতে পারে। গণমাধ্যমে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন তিনি।
নিপুণের রিট এবং তার সদস্যপদ চলে যাওয়া নিয়ে যখন সারা দেশে চর্চা হচ্ছে, তখনই বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন এই নায়িকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি বলেন, বিষয়টি যেহেতু আদালতে উঠেছে, সেখানেই দেখা যাবে এটা নাটকীয় না রিয়েলিটি।
ডিএ তায়েবের উদ্দেশে নিপুণ বলেন, আমি ডিএ তায়েবের মতো একদমই ফ্রি লোক না। তিনি কি অভিনেতা, একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা, তার কোনো সিনেমা ব্লকবাস্টার? তিনি কি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অঙ্গনে নিজের নাম নক্ষত্রের সঙ্গে লিখেছেন- তার কাছে আমার প্রশ্ন রইল। আর তিনি আমাকে নিয়ে যেটি বলেছেন, আমার মানসিক সমস্যা রয়েছে। সেটার জন্য আমি দেশে আসার পর তার নামে সাইবার ক্রাইমে মামলা করব।
চিঠি দেওয়ার পর সাতদিনের মধ্যে সদুত্তর না পেলে এই নায়িকার সদস্যপদ বাতিল করা হবে- এ ব্যাপারে নিপুণ বলেন, সদস্যপদের সঙ্গে কোর্টের কোনো সম্পর্ক নেই। রিট যেহেতু করেছি, ওনাদের কোর্টে আসতেই হবে। আর তিনি যদি সদস্যপদ খারিজ করতেই চায়, তাহলে সেটার জন্যও কোর্ট রয়েছে। দেশে তো আইন রয়েছে।
অন্যদিকে নিপুণের রিট করা প্রসঙ্গে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডিপজল বলেন, ‘কেস খেলবা, আসো। যেটা খেলার মন চায় সেটাই খেলো। আমরা ভদ্রতা ও নম্রতা চাই। আমরা চাই কীভাবে চলচ্চিত্র এগিয়ে নেওয়া যায়, সেদিকে কাজ করার। আমরা কোনো ঝামেলা চাই না। ’
আরও পড়ুন: যে কারণে বাতিল হতে পারে নিপুণের সদস্যপদ
সভাপতি মিশা সওদাগর হুংকার দিয়ে বলেন, ‘সংবিধানকে যিনি ক্ষতবিক্ষত করেছেন, তাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বুঝিয়ে দেব শিল্পী সমিতির সংগঠন কী? এবার শিল্পী সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কে? এবার এই সংগঠনের ক্যাবিনেটটা কী? পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জেনে যাবেন। ’
news24bd.tv/TR
