ছবিতে কোলে বসা ছোট্ট এই ছেলেটি বলিউড অভিনেতা। ‘লেডিজ ম্যান’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন একসময় বলিপাড়ায়। শুধু তাই নয়, তাকে ইন্ডাস্ট্রির প্রথম 'চকলেট বয়' হিসেবে উল্লেখ করা হত। তিনি ঋষি কাপুর।
বাবা রাজ কাপুরের ছবি ‘মেরা নাম জোকার’ দিয়ে ঋষি কাপুর শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তারপরে তিনি ববির বিপরীতে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং তারপর থেকে আর কখনোই পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শ্রীদেবী, অমিতাভ বচ্চন, পদ্মিনী কোলহাপুরীদের মতো তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
ঋষি কাপুর এবং নীতু কাপুরের প্রেম অনেকটা সিনেমার মতো।
একাধিক নায়িকার সঙ্গে ঋষির প্রেমের খবর আসত। ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ফিসফাস চলত বলিমহলে। যা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন খোদ নীতু। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমি তাকে শতবার ফ্লার্ট করার সময় ধরেছি। ওর একাধিক সম্পর্কের খবর আমার কাছে এসেছে আউটডোর শ্যুটের সময়। কিন্তু আমি জানি ওগুলো শুধুই ওয়ান-নাইট স্ট্যান্ড। দুই বছর আগে, আমি এটা নিয়ে তার সঙ্গে অনেক ঝগড়া করতাম কিন্তু এখন আমি ঠিক করেছি, ছেড়ে দেব। কতদিন চালাতে পারে এসব দেখা যাক। ’
নীতু আরও বলেছিলেন, ‘তিনি সর্বদা ভাবছেন কীভাবে আমি তার কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে জানতে পারি। আমার অনেক বন্ধু আছে, এবং তারা আমাকে এগুলো এসে খবর দেয়। আমি কেবল তাঁকে (ঋষি কাপুরকে) বলি, 'আমি এগুলো জানি। সুতরাং চলো এগুলো ভুলে যাই। ’ তাঁর মনটা খচখচ করে, কারণ আমি তাকে কখনোই কিছু বলি না। আমি কিছু সময়ের জন্য তাঁকে উপেক্ষা করি বা কথা বলা বন্ধ করে দেই। ’
ঋষিকে নিয়ে আরও বলেছিলেন নীতু, ‘আমি জানি তাঁর কাছে পরিবারের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। সুতরাং কেন এসব নিয়ে মাথা ঘামাব। এগুলো সবই আসলে সাময়িক। আমি এটা জানি, তিনি আমার উপর খুব নির্ভরশীল, তিনি আমাকে ছেড়ে যাবে না। আমি মনে করি পুরুষদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। তাঁরা স্বভাবগতভাবে ফ্লার্টিং করতে ভালোবাসে। তাঁদের বেঁধে রাখা সম্ভব নয়। ’
২০১৮ সালে, ঋষি কাপুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং এক বছরের জন্য চিকিৎসার জন্য নিউইয়র্কে উড়ে যান। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি দেশে ফিরেছিলেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। ২০২০ সালে তিনি পাড়ি দেন না ফেরার দেশে।
news24bd.tv/TR