ইরানের সাথে বাণিজ্য চুক্তি, পাকিস্তানকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের সাথে বাণিজ্য চুক্তি, পাকিস্তানকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার হুমকি উপেক্ষা করে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) চূড়ান্তকরণ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে সহায়তা বৃদ্ধিসহ নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ ও তেহরান। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও নিউজ।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির তিন দিনের পাকিস্তান সফরের শেষে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেসব দেশ ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করছে, তারা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকির সম্মুখীন হবে।

এর আগে রাইসির সফরে ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য বাড়ানো নিয়ে আটটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার পাকিস্তানকে ইরানের প্রেসিডেন্টের সফর ও ইরানের সাথে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে।

গত সোমবার ইসলামাবাদ সফরে আসেন রাইসি। এ বছরের শুরুতে পাকিস্তান ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলার পর সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ হিসেবে রাইসি পাকিস্তান সফর করেন।

গত সপ্তাহে ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনার মধ্যেই রাইসির এ সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামাবাদ সফরে এসে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন রাইসি। তিনি বাণিজ্য, জ্বালানি, যোগাযোগসহ নানা বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘কেউ যদি ইরানের সঙ্গে কোনো প্রকার বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী হয়, সেক্ষেত্রে এ সম্পর্কিত কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা। ’

পরবর্তীতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করার সময় ওই মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শুধু পাকিস্তানের বৃহত্তম রপ্তানি বাজারই নয়, বরং দেশটির অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ।

তিনি আরও বলেন, গত ২০ বছর ধরে আমরা পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। তাই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সাফল্য এক অর্থে আমাদেরও সাফল্য, এবং আমরা এই অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে চাই।

গত সপ্তাহে চীন ও বেলারুশের তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে ক্ষেপণাস্ত্র যন্ত্রাংশ সরবরাহ করায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, কারণ তারা এমন সত্তা ছিল, যারা গণবিধ্বংসী অস্ত্র বিস্তারে ভূমিকা রেখেছে।

তবে ওয়াশিংটনের হুমকি খুব একটা আমলে নিচ্ছে না পাকিস্তান ও ইরানের সরকার। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, উভয় পক্ষই দ্রুত এফটিএ চূড়ান্ত করতে, বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক পরামর্শ (বিপিসি) ও জয়েন্ট বিজনেস ট্রেড কমিটির (জেবিটিসি) পরবর্তী সেশনের পাশাপাশি শিগগির যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) ২২তম সভা আয়োজন করতে সম্মত হয়েছে।

news24bd.tv/DHL