আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ৩০টি আসনেও জয়লাভ করার মতো সমর্থন নেই বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেছেন, ঐক্যফ্রন্ট ৪৯টি আসন পেতে পারে বলে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের (আরডিসি) জনমত জরিপে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, বাস্তবে সেটাও ঘটবে না।
বুধবার নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক স্টাটাসে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
তার ধারণা, আসন্ন নির্বাচনে ৩০টি আসনেও জয়লাভ করার মতো সমর্থন নেই বিএনপির।
রাজধানীর একটি হোটেলে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি) নামে একটি সংস্থা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নতুন জনমত জরিপ প্রকাশ করে। ওই জরিপে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৪৮টি আসনে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৪৯ আসনে এবং স্বতন্ত্রসহ অন্য প্রার্থীরা তিনটি আসনে জয়ী হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
জরিপটি প্রকাশের পর সজীব ওয়াজেদ জয়ের দেওয়া পুরো স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
‘রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি) এর নতুন জনমত জরিপের ফলাফল আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের সমর্থন ৬০.৪% আর বিএনপি’র সমর্থন ২২.২%। এছাড়া জাতীয় পার্টি ৩.৭%, সিদ্ধান্তহীন ১০.৩% এবং ২.৭% ভোটার উত্তর দিতে চাননি।
আরডিসি’র পূর্বাভাস হচ্ছে, আওয়ামী লীগ আসন্ন নির্বাচনে ২৪৮টি আসনে জয়লাভ করবে আর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট জিতবে ৫৯টি আসনে।
এর আগে গত আগস্ট মাসে করা আরডিসির আরেকটি জরিপের বরাতে সজীব ওয়াজেদ জয় ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এক ফেইসবুক পোস্টে বলেছিলেন, নির্বাচনে তাদের দল আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চ ২২০ আসনে জয় পেতে পারে বলে তারা আভাস পেয়েছেন।
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বর্জনে ২০১৪ বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা।
ওই নির্বাচনে সব মিলিয়ে ২৩২টি আসনে জয় পেয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি ৩৩টি, ওয়াকার্স পার্টি ছয়টি, জাসদ পাঁচটি, জেপি একটি, তরিকত ফেডারেশন একটি, বিএনএফ একটি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৩টি আসনে জয় পান।
এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠাতা পেয়েছিল। দুই বছর জরুরি অবস্থার পর ২০০৮ সালের ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০, বিএনপি ২৯, জাতীয় পার্টি ২৭, জাসদ তিনটি, ওয়ার্কার্স পার্টি দুটি, জামায়াতে ইসলামী দুটি, এলডিপি একটি, বিজেপি একটি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চারটি আসনে জয়ী হন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)