দেশে একসঙ্গে ৬৪৮ জন সংসদ সদস্য রয়েছে বলে যে বিতর্ক উঠেছে, তা ঠিক নয় দাবি করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে সারাদেশে একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য এ বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
বুধবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এ মুহূর্তে একাদশ সংসদের ৩৫০ জন আর ডামি দ্বাদশ সংসদের ২৯৮ জন মোট ৬৪৮ জন শপথবদ্ধ এমপি রয়েছেন। এখন রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন ডাকলে দুই সংসদের সদস্যরাই তাতে যোগ দিতে পারেন।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা এমপি হিসেবে শপথ নিলেও সংসদে তারা কার্যভার গ্রহণ করার পর থেকে এমপি হিসেবে বিবেচিত হবেন। শপথ নেয়া এবং কার্যভার গ্রহন করা আলাদা জিনিস। শপথ নিলেই কার্যভার গ্রহণ করা নয়।
আগামী ৩০ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশনের মাধ্যমে নতুন এমপিরা কার্যভার গ্রহণ করবেন বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকেই নতুন সংসদ সদস্যরা এমপি হিসেবে সুযোগ-সুবিধা পাবেন। নতুন সংসদের অধিবেশন বসার পর বর্তমান সংসদ সদস্যদের মেয়াদ শেষ হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানকে ঠিকভাবে ইন্টারপ্রেট না করে দেশে একসঙ্গে ৬৪৮ জন সংসদ সদস্য রয়েছে বলে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে সারাদেশে একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য এ বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। সংবিধানের যে আর্টিকেলগুলো আছে সেটি সম্পর্কে তাদের সম্মুখ জ্ঞান নেই। তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তারা কীভাবে এমপির কার্যকর নেবেন সে বিষয়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদগুলো পড়ে শোনান আইনমন্ত্রী।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত এমপিরা কীভাবে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে বসলেন- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মন্ত্রীর কার্যক্রম চালাতে কোনো অসুবিধা নেই। কোনো মন্ত্রী এমপি হিসেবে কোনো কাজ করছেন না। এমপির কার্যভার গ্রহণ করার পরেই মন্ত্রীরা এমপির কাজগুলো করবেন।
news24bd.tv/aa