সাতক্ষীরায় মাদ্রাসা সুপারের মৃত্যুর ঘটনায় চার পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল্লাহ মাহমুদের আদালতে নিহতের ভাই বজলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বিজ্ঞ বিচারক ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে পিবিআই খুলনা আঞ্চলিক পরিচালককে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. ওসমান গনি জানান, কাথন্ডা গ্রামের মাওলানা সাইদুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনায় তার ভাই বজলুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানার এসআই আসাদ, পাইক দেলওয়ার, এএসআই সুমন হাসান ও এএসআই আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
এ সময় বজলুর রহমান অভিযোগ করেন, আমার ভাইকে পুলিশ কর্মকর্তারা শুধুমাত্র ঘুষ নেওয়ার জন্য আটক করেছিল। তার বিরুদ্ধে থানাতে কোন মামলা ছিল না। এক লাখ টাকা ঘুষ না দেওয়ায় তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি তার ভাইকে হত্যার জন্য অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামের মাওলানা সাইদুর রহমানকে তার বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, সদর থানার এস আই আসাদুজ্জামান ও পাইক দেলোয়ার তাকে আটকের পর এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে। তা না দেওয়ায় তার উপর শারীরিক নির্যাতন করেন তারা। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে স্থানীয় এক ডাক্তারের নিকট প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে দ্বিতীয় দফায় নির্যাতনের পরে শুক্রবার বিকেলে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
রাতে জেলহাজতে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই শনিবার ভোরে তিনি মারা যান। মাওলানা সাইদুর রহমান কলারোয়া উপজেলার বাকসা-হঠাৎগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার সুপার ছিলেন।