ঝিনুকের গুঁড়া মুরগি ও মাছের জন্য পুষ্টিকর খাবার হওয়ায় দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে। ফিড ব্যবসায়ী, মুরগির খামারি ও মাছচাষিদের কাছে এখন বগুড়ার ঝিনুকের গুড়ার বেশ কদর। জেলার চাহিদা মিটিয়ে উত্তরের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে এখানকার ঝিনুকের গুড়া। গবাদি পশু ও পোল্ট্রি খাদ্যে ঝিনুকের গুঁড়া ব্যবহারে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় বলে অভিমত পশুসম্পদ সংশ্লিষ্টদের।
বগুড়া সদর উপজেলার নওদাপাড়া এলাকায় গেলো ৪২ বছর ধরে ঝিনুকের গুঁড়া তৈরি করছেন সামছুল আলম। তার উৎপাদিত ঝিনুকের গুঁড়ার কদর উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। এ কারখানা থেকে মাসে ১ হাজার বস্তার বেশি ঝিনুকের গুঁড়া বিক্রি হচ্ছে ফিড ব্যবসায়ী, মুরগির খামারি ও মাছচাষিদের কাছে।
প্রাকৃতিকভাবে সংগৃহীত এইসব ঝিনুক রোদে শুকিয়ে মেশিনে গুঁড়া করা হয়।
মাছ ও মুরগীর জন্য পুষ্টিকর খাবার হওয়ায় ঝিনুকের গুঁড়ার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
গবাদি পশু ও পোল্ট্রি খাদ্যে ঝিনুকের গুড়া ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হিসেবে বেশ কার্যকর বলে জানিয়েছে জেলার প্রাণীসম্পদ বিভাগ।
বর্তমানে ৫০ কেজি ঝিনুকের গুঁড়ার বস্তা বিক্রি হয় ৪৫০ থেকে ৫শ’ টাকায়। মাসে গড়ে ৫ লাখ টাকার বেশি গুঁড়া বিক্রি বিক্রি হচ্ছে বগুড়ার এই কারখানা থেকে।
news24bd.tv/ তৌহিদ