সুপার টাইফুন রাইয়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ফিলিপাইনের উপকূলীয় অঞ্চল। টাইফুনের প্রকোপে দ্বীপদেশটির মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২তে পৌঁছেছে।
দেশটির বিভিন্ন দ্বীপপুঞ্জের গাছ-পালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। এছাড়া ফিলিপাইনের বিভিন্ন গ্রামগুলোও পানিতে ডুবে গেছে।
দেশটির প্রেসিডেন্টের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এই বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ের কারণে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের কারণ।
শুক্রবার ফিলিপাইনে আছড়ে পড়া একটি টাইফুন থেকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২তে পৌঁছেছে এবং রাষ্ট্রপতি আশঙ্কা করেছিলেন যে এটি আরও বাড়তে পারে কারণ কর্তৃপক্ষ এই বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ের কারণে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের মূল্যায়ন করেছে।
টাইফুন রাইয়ের আঘাতে প্রায় তিন লাখ লোকের বাড়ি ও সমুদ্র সৈকতের পাশের সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিও দেখা যায়, সেবু শহরে টাইফুনের কারণে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে। প্রবল বাতাসে গাছ উপড়ে পড়েছে, ভবন ও অন্যান্য কাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয় অধিকাংশ মৃত্যু হয়েছে গাছ পড়ে এবং ডুবে যাওয়ার কারণে।
এ টাইফুনের বিষয়ে ফিলিপাইনের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিকার্ডো জালাদ এক ব্রিফিংয়ে বলেন, সুপার টাইফুন রাইয়ের আঘাতে সিয়ারগাও দ্বীপে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এ টাইফুনের প্রকোপে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পালোয়ান দ্বীপও এ টাইফুনের প্রভাবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এছাড়া ফিলিপাইনের ভিসায়াস ও মিন্দানাওর দক্ষিণ দ্বীপাঞ্চচলেও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে এ সুপার টাইফুনটি।
আরও পড়ুন:
চুল পড়া কমবে যেসব তেল ব্যবহারে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিবিদ্ধ চেয়ারম্যান প্রার্থী মারা গেছেন
রাই ক্যাটাগরি ৫ মাত্রার তীব্রতর ঝড়। ঝড়টি আঘাত আনার আগে ঘণ্টায় ১৯৫ কিমি বা ১২১ মাইল গতিবেগে বাতাস বইছিলো। শনিবারের মধ্যে তা দুর্বল হয়ে পড়ে। দেশটিতে বছরে গড়ে ২০ টি টাইফুন দেখে। চলতি বছর দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানা ১৫তম ঝড়। বেশ কয়েকটি বন্দরে কয়েক ডজন ফ্লাইট বাতিল এবং অচল অপারেশন দেখেছে, প্রায় ৪ হাজার লোক আটকা পড়েছে।
news24bd.tv রিমু