বিআরটিএ অনুমোদিত সকল যানবাহনে নাম্বারপ্লেট ব্যবহারের নিয়ম চালু হয় ১৯৭৩ সালে। আমরা হয়তো অনেকেই জানি না যে, বাইক বা গাড়ির নাম্বারপ্লেটের ক, খ, হ, ল, গ ইত্যাদি অক্ষরগুলো কী অর্থে ব্যবহৃত হয়। আমরা নাম্বারপ্লেটের শুধু নাম্বারটি দেখি, কিন্তু এর অর্থ বোঝার চেষ্টা কমই করি। আসলে এই নাম্বারপ্লেট কী অর্থ বহন করে?
বাংলাদেশের যানবাহনগুলোর নাম্বারপ্লেটের ফরম্যাট হচ্ছে- ‘শহরের নাম-গাড়ির ক্যাটাগরি ক্রম এবং গাড়ির নাম্বার’।
যেমন, ‘ঢাকা মেট্রো য-১৬৩৫৯২। এখানে, ‘ঢাকা মেট্রো’ দ্বারা বোঝানো হয়েছে গাড়িটি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আওতাধীন।
‘য’ হচ্ছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গাড়ির চিহ্নকারী বর্ণ। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন সব গাড়ি ‘য’ বর্ণ দ্বারা চিহ্নিত করা হবে।
সাধারণত বাংলা বর্নমালার ‘অ, ই, উ, এ, ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ, ত, থ, ঢ, ড, ট, ঠ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম, য, র, ল, শ, স, হ অক্ষরগুলো ব্যবহার করা হয়। উপরের প্রতিটি বর্ণ আলাদা আলাদা গাড়ির পরিচয় বহন করে। যেমন: ৫০ সিসি পর্যন্ত মোটর সাইকেলের ক্ষেত্রে ‘এ’ ব্যবহার করা হয়।
চলুন জেনে নিই এগুলো দ্বারা কী বুঝায় –
ক – ৮০০ সিসি প্রাইভেটকার
খ – ১০০০-১৩০০ সিসি প্রাইভেটকার
গ – ১৫০০-১৮০০ সিসি প্রাইভেটকার
ঘ – জীপগাড়ি
চ – মাইক্রোবাস
ছ – মাইক্রোবাস / লেগুনা (ভাড়ায় চালিত)
জ – বাস (মিনি)
ঝ – বাস (কোস্টার)
ট – ট্রাক (বড়)
ঠ – ডাবল কেবিন পিকআপ
ড – ট্রাক (মাঝারী)
ন – পিকআপ (ছোট)
প – ট্যাক্সি ক্যাব
ভ – ২০০০+ সিসি প্রাইভেটকার
ম – পিকআপ (ডেলিভারী)
দ – সি এন জি (প্রাইভেট)
থ – সি এন জি (ভাড়ায় চালিত)
হ – ৮০-১২৫ সিসি মোটরবাইক
ল – ১৩৫-২০০ সিসি মোটরবাইক
ই – ট্রাক (ভটভটি)