কখনো সময় থাকলে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ১৮ মিনিটের পুরো ভাষণটা শুনতে পারেন। একটা ভাষণ আসলেই মুক্তিকামী একটা জাতির দলিল হয়ে উঠতে পারে। বজ্র কণ্ঠের এই ভাষণের প্রতিটি শব্দ যেন কবিতার মতো। প্রাণে নতুন স্পন্দন জাগে।
ভাষণ শুরুর পরপরই বঙ্গবন্ধু বলছেন, “আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়-তারা বাঁচতে চায়। তারা অধিকার পেতে চায়।
বঙ্গবন্ধু বলছেন, কেউ যদি ন্যায্য কথা বলে আমরা তা মেনে নেব, এমনকি তিনি যদি একজনও হন। এই লাইনটাও আমার ভীষণ প্রিয়। পরের লাইনগুলো শুনুন, , “আমরা পয়সা দিয়ে যে অস্ত্র কিনে দিয়েছি বহিঃশত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্যে, আজ সে অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে আমার নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য। "
মেসি ঝড়ে বার্সার জয়, অ্যাতলেটিকোর সঙ্গে ব্যবধান কমলো
এবার অনলাইনে প্রতারণার শিকার মিমি চক্রবর্তী
ভালো ছেলে পেলে তৃতীয় বিয়ে করবেন মুনমুন
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করবো; মনে আছে? আজো আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত। "
আসলেই রক্ত দিয়ে ঋণ শোধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “একটা কথা মনে রাখবেন, আমাদের মধ্যে শত্রু ঢুকেছে, ছদ্মবেশে তারা আত্মকলহের সৃষ্টি করতে চায়। বাঙ্গালী-অবাঙ্গালী, হিন্দু-মুসলমান সবাই আমাদের ভাই, তাদের রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের”।
আমার কাছে আজও কথাগুলো প্রাসঙ্গিক মনে হয়। প্রাসঙ্গিক মনে হয় এই কথাগুলোও, “আন্দোলন ও বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। আন্দোলন ঝিমিয়ে পড়লে তারা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। শৃংখলা বজায় রাখুন। শৃংখলা ছাড়া কোন জাতি সংগ্রামে জয়লাভ করতে পারে না। "
আর শেষের লাইনটা তো নিজেই এক ইতিহাস। এই এক লাইনেই আছে বহুকিছু। এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা। "
শরিফুল হাসান, উন্নয়ন কর্মী
news24bd.tv আয়শা