নাটোরে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা
হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলাটি করা হয়।
আদালত র্যাব-৫ রাজশাহীকে অভিযোগ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত এএসআইয়ের নাম মাহবুবুর রহমান (৩৫)।
তিনি বর্তমানে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মতিহার থানার অধীন কাজলা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। মামলার বাদী নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর এলাকার বাসিন্দা এক তরুণী (২৫)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত ২০১৪ সালের দিকে। বাদী তখন রাজশাহীর একটি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নরত ছিলেন।
ওই সময় মাহবুবুরের সঙ্গে ওই ছাত্রীর ঘনিষ্ঠতা হয়। মাহবুবুর তাঁকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে একত্রে বসবাস করতে শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে পবা ও নওদাপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাসের একপর্যায়ে বাদী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। এ সময় মাহবুবুর তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে গর্ভপাত করান। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করলে মাহবুবুর তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে শুরু করেন। সর্বশেষ ৭ নভেম্বর নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি বাবার বাড়িতে চলে যান। ওই দিন রাতে মাহবুবুর তাঁর বাবার বাড়িতে গিয়ে পরের দিন বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। ওই রাতে বাদীকে পুনরায় ধর্ষণ করে মাহবুবুর বিয়ে না করেই পরদিন রাজশাহীতে পালিয়ে আসেন।
১০ নভেম্বর বাদী রাজশাহীর ভাড়া বাসায় এসে বিয়ের কথা বললে ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাঁকে আবারও শারীরিক নির্যাতন করেন এবং সবকিছু গোপন রাখার জন্য চাপ দেন। এত দিনের ঘটনাপ্রবাহে আর উপায় না দেখে আজ বৃহস্পতিবার ওই তরুণী নাটোরে এসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ট্রাইব্যুনাল অভিযোগটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য র্যাব-৫ রাজশাহীর অধিনায়ককে দায়িত্ব দেন।
আরও পড়ুন: মায়ের সামনে ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত এএসআই মাহবুবুর রহমানের মুঠোফোনে কল করা হলে আজ তিনি বাদী তাঁর স্ত্রী বলে দাবি করেন। দাবির সমর্থনে কোনো কাগজপত্র আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজপত্র এখনো করা হয়নি। কাগজপত্র করার ব্যাপারে কথাবার্তা হচ্ছে। শিগগিরই তিনি তাঁকে স্ত্রীর মর্যাদা দেবেন বলে জানান।
news24bd.tv তৌহিদ