জালালকে গুলি করে মারেন স্ত্রী
আদালতে প্রতিবেদন

জালালকে গুলি করে মারেন স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ আট বছর পর নেত্রকোনা-১ (দুর্গাপুর-কলমাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন তালুকদার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।  

দুর্গাপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বর্ণ কমল সেন আদালতে মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন তালুকদার হত্যার ব্যাপারে সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা বিভিন্ন ধাপে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরবর্তী সময়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে মামলার বাদী জালাল উদ্দিন তালুকদারের ছেলে শাহ কুতুব উদ্দিন রুয়েলের আপত্তি থাকায় তা বাতিল করা হয়।

সর্বশেষ তিন বছর আগে হাইকোর্ট নেত্রকোনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করার নির্দেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তা মামলার ৪০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তদন্ত প্রতিবেদন আদালেত পেশ করতে বিলম্ব হয়।

গতকাল দুপুরে দুর্গাপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বর্ণ কমল সেনের নির্দেশে আদালত বাদীর উপস্থিতিতে তাকে এ প্রতিবেদন পাঠ করে শোনান।

তদন্ত প্রতিবেদনে বাদীর কোনো আপত্তি আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে বাদী তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।


আরও পড়ুন: এমপি পাপলু ও তার স্ত্রীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা


প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে জালাল উদ্দিন তালুকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী আয়েশা খাতুন তার (এমপির) পিস্তল দিয়ে গুলি করে জালাল তালুকদারকে খুন করেন। এ খুনের মামলায় দ্বিতীয় স্ত্রীকে অভিযুক্ত স্যবাস্ত করে গতকাল মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এ প্রসঙ্গে মামলার বাদী শাহ কুতুব উদ্দিন রুয়েল জানান, দীর্ঘদিন ধরে যারা এ মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে চেয়েছিলেন আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। এ প্রতিবেদনে আমি সন্তুষ্ট।

উল্লেখ্য, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন তালুকদার তিনবার নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত ২০১২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বও দুর্গাপুর উপজেলার বাগিছাপাড়ার বাসায় নিজ শয়নকক্ষে পিস্তলের গুলিতে খুন হয়েছিলেন তিনি।

news24bd.tv নাজিম