একজন সচেতন মানুষ মহামারীর এই পরিস্থিতিতে মাস্ক ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়ার কথা ভাবতেও পারেন না।
বাজারে নানা ধরণের মাস্ক পাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ মাস্ক করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা করতে পারে না। যে কয়টি মাস্ক ব্যবহারে সুরক্ষিত থাকা যায় তারমধ্যে এন৯৫ মাস্ক অন্যতম।
তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুব সহজেই এন৯৫মাস্ক জীবাণু মুক্ত করা সম্ভব। সম্প্রতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক গবেষক এ মাস্ক জীবাণু মুক্ত রাখার কৌশল বের করেছেন।
পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পত্রিকা জার্নালে তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, মাস্ক একবার ব্যবহারের জিনিস। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে একবার ব্যবহার সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে একবার ব্যবহারের পর দ্বিতীয়বার ব্যবহারের আগে মাস্ককে জীবাণু মুক্ত করা একান্ত জরুরি।
ভালভ-রেসপিরেটর থাকলে ভাইরাসের প্রবেশ আটকানো সম্ভব। শ্বাস ছাড়ার সময় জীবাণু ভালভের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে যাবে। আর তাই যিনি ভালভযুক্ত মাস্ক পরছেন, তিনি নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন।
বৈদ্যুতিক-কুকারে এন৯৫ মাস্ক স্যানিটাইজের ক্ষেত্রে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন গবেষক। তিনি অনুমান করেছেন যে শুকনো তাপে, কোনও রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াই এন৯৫ মাস্ককে জীবাণু নির্মূলীকরণ, পরিশ্রুতকরণ, পরিস্রাবণ করতে পারবেন। যা সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে।
গবেষক প্রায় ৫০ মিনিট ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বৈদ্যুতিক-কুকারের মধ্যে মাস্কটি রাখেন। এরপর দেখেন করোনা ভাইরাসসহ চারটি পৃথক শ্রেণির ভাইরাস মুক্ত হয় মাস্কটি থেকে।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাজিম