দেশে পরিচালিত মোবাইল ফোন অপারেটরের সেবা নিয়ে ব্যাপক অভিযোগের কথা জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেছেন, রাজধানীর মতিঝিল থেকে ধানমন্ডি আসতে মোবাইল ফোনে ৮ বার কলড্রপ হয়। আমি টাকা দেব, কিন্তু সে অনুযায়ী মোবাইল ফোনের সেবা পাব না, তা তো হবে না।
মঙ্গলবার রাজধানীর রমনায় ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা ফোরজির তরঙ্গ বিক্রির নিলামের পর তিনি এ অভিযোগ করেন।
মন্ত্রী জানান, আজকের এদিনটি বাংলাদেশের জন্য ইতিহাস হয়ে থাকল। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে দেশে ফোরজি চালুর উদ্যোগ ও সে অনুযায়ী পরামর্শ দেয়ার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আজকের এ নিলামে সরকার প্রায় ৫ হাজার ২৬৮ কোটি টাকার তরঙ্গ বিক্রি করেছে। আগামী সপ্তাহে এই ফোরজি সেবার লাইসেন্স প্রদান করা হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন আয়োজিত নিলামে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন এবং বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন অংশ নেয়।
নিলামে বাংলালিংক ২১০০ মেগাহার্টজের ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্টজ, ১৮০০ মেগাহার্টর্জের ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্টজ এবং গ্রামীণফোন ১৮০০ মেগাহার্টজব্যান্ডে ৫ দশমিক ৬ মেগাহার্জসহ সর্বমোট ১৫ দশমিক ৬ মেগাহার্জ তরঙ্গ ক্রয় করে। যা বিটিআরসির প্রত্যাশার এক তৃতীয়াংশ।
অর্থাৎ প্রত্যাশার তুলনায় ফোরজির তরঙ্গ বিক্রি হয়েছে অনেক কম। যা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে বিটিআরসি। তবে মোবাইল অপারেটরগুলোর জন্য আগামী ৬ মাস এই ফোরজি তরঙ্গ কেনার পথ খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
নিলামে অন্য অপারেটর রবি, টেলিটক ও সিটিসেল অংশ নেয়নি। তবে টেলিটক সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফোরজি তরঙ্গ নেবে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের দেশে গ্রাহক বাড়ছে, কিন্ত সে হারে তরঙ্গ বাড়ছে না; মোবাইল অপারেটরগুলোর অল্প তরঙ্গ দিয়েই সেবা দিচ্ছে।
অপারেটরদের দ্রুত সেবার মান বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমার কাছে যদি একজন গ্রাহক বলে, নেটওয়ার্কের কারণে কথা বলা যায় না। তখন আমার উত্তর দেয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
দেশজুড়ে গতি পৌঁছাতে না পারলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যদি গুণগত মান পরিপূর্ণ না করা যায়, তবে আমরা লক্ষ্য অর্জন করতে ব্যর্থ হব। আমরা অর্থ দেব, বিনিময়ে সেবা পাব- সেটা বিশ্বাস করতে চাই।