ন্যাটো রাষ্ট্রগুলোকে সতর্ক করলেন পুতিন 

সংগৃহীত ছবি

ন্যাটো রাষ্ট্রগুলোকে সতর্ক করলেন পুতিন 

অনলাইন ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ন্যাটো রাষ্ট্রগুলোর কাছে একটি স্পষ্ট সতর্কবাণী পাঠিয়েছেন। সেন্ট পিটার্সবার্গে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বক্তৃতায় রাশিয়ার ভূখন্ডে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি না দিতে সতর্ক করেছেন পুতিন।

পশ্চিমা বিশ্বগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে পুতিন বলেন, মস্কো এটাকে (পশ্চিমা অস্ত্রের ব্যবহার) ইউক্রেনের যুদ্ধে ন্যাটো দেশগুলোর সরাসরি অংশগ্রহণ হিসেবে দেখবে। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমের এই আচরণ সংঘাতের প্রকৃতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করবে।

এর অর্থ হবে যে ন্যাটো দেশগুলি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলি রাশিয়ার সাথে লড়াই করছে।  

তিনি দাবি করেছিলেন, রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য, ইউক্রেনের পশ্চিমা উপগ্রহ থেকে ডেটা প্রয়োজন। তাই রাশিয়ায় আক্রমণ করতে হলে পশ্চিমা বিশ্বের সাহায্য ছাড়া তা করা সম্ভব নয়।  

রাশিয়া ইতিমধ্যে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আমেরিকান দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে।

গত দুই বছরেও অসংখ্যবার রাশিয়া পশ্চিমা বিশ্বগুলোকে চলমান যুদ্ধের জন্য দায়ী করেছে।  

কিন্তু প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাম্প্রতিক মন্তব্যের সুর থেকে, এটা স্পষ্ট যে তিনি মনে করেন রুশ ভূখণ্ডকে টার্গেট করে পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার আন্তর্জাতিকভাবে সংঘর্ষকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে।

তবে মস্কো কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানাননি রুশ প্রেসিডেন্ট। ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, "আমাদের জন্য যে হুমকি তৈরি হবে তার ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। "

শুক্রবারেই (১৩ সেপ্টেম্বর), যুক্তরাজ্যের ৬ জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে রাশিয়া। তবে পুতিনের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া অনেক বিস্তৃত হতে পারে, যার আভাস তিনি জুন মাসে দিয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার প্রধানদের সাথে এক বৈঠকে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: ইউক্রেনকে ইউরোপের সরবরাহকৃত অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার সুযোগ দেওয়া হলে রাশিয়া কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে?

পুতিন উত্তরে বলেছিলেন, প্রথমত রাশিয়া আঘাত প্রতিহত করার চেষ্টা করবে। দ্বিতীয়ত, যে দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করছে, সে দেশ গুলোর স্থাপনাতেও রাশিয়া কেন হামলা চালাতে পারবে না? 

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার ওয়াশিংটনে আলোচনা করবেন। এ আলোচনায় তারা ইউক্রেনের অনুরোধ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন৷ 

একাধিক সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, এই দুই দেশ ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগের ক্ষেত্রে আরো স্বাধীনতা দিতে চলেছে৷ তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাইডেন ও স্টারমার সম্ভবত সরাসরি এমন ঘোষণা নাও দিতে পারেন বলে ৷সূত্র: বিবিসি

news24bd.tv/এসএম

এই রকম আরও টপিক