ব্যক্তিগত খরচে স্পেসওয়াকের যাত্রা শুরু 

সংগৃহীত ছবি

ব্যক্তিগত খরচে স্পেসওয়াকের যাত্রা শুরু 

অনলাইন ডেস্ক

কথায় বলে শখের দাম লাখ টাকা। এবার ব্যক্তিগত ভাবে স্পেসওয়াকে (মহাকাশে একজন নভোচারীর মহাকাশযানের বাইরে ব্যয় করা কার্যকলাপের সময়কাল) যেয়ে সেই কথাকেই প্রমাণ করলেন জ্যারেড আইজ্যাকম্যান। নিজস্ব অর্থায়নে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে যাত্রা করেছেন জ্যারেড। এটি হতে চলেছে ব্যক্তিগত খরচে প্রথম স্পেসওয়াকে।

এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে পোলারিস ডন।  

এই মিশনে মোট চারজন মহাকাশচারী রয়েছেন। এই যাত্রায় জ্যারেডের সাথে রয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু স্কট 'কিড' পোটিট। কিড একজন অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনীর পাইলট।

এছাড়া তাদের সঙ্গে আরও রয়েছেন দুই স্পেসএক্স প্রকৌশলী আনা মেনন এবং সারাহ গিলিস।

রেজিলিয়েন্স নামক মহাকাশযানটি যাত্রীদের নিয়ে পৃথিবী থেকে ৮৭০ মাইল বা ১৪০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত যাবে। ১৯৭০-এর দশকে নাসার অ্যাপোলো প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার পর থেকে কোনও মানুষ এতদূর যায়নি।  

সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী থাকলে ভ্রমণের তৃতীয় দিন আইজ্যাকম্যান এবং সারাহ গিলিস প্রথমবারের মতো ব্যক্তিগতভাবে অর্থায়িত স্পেসওয়াকের চেষ্টা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই স্পেসওয়াক  দুই ঘন্টা স্থায়ী হবে।
 
পৃথিবী থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা অবস্থায় তারা স্পেসওয়াক করবেন বলে জানা গেছে। এসময় মহাকাশচারীরা নতুন এক্সট্রাভেহিকুলার অ্যাক্টিভিটি (ইভিএ) নভোচারী স্যুট পরীক্ষা করবেন। এই স্যুটটি মহাকাশযানের বাইরে কাজ করার জন্য স্পেস এক্স-এর ইন্ট্রাভেহিকুলার অ্যাক্টিভিটি (আইভিএ) স্যুট থেকে আপগ্রেড করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আইজ্যাকম্যান এই মিশনে যাওয়া ক্রুদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ মহাকাশচারী। এর আগেও তিনি একাই মহাকাশে গিয়েছেন স্পেসএক্সের সাথে অন্য একটি মিশনে। সূত্র: বিবিসি

news24bd.tv/এসএম

এই রকম আরও টপিক