ডিজি নয়, বিটিভির প্রোগ্রাম পরিচালক হতে চেয়েছিলাম: অরুণা বিশ্বাস

ডিজি নয়, বিটিভির প্রোগ্রাম পরিচালক হতে চেয়েছিলাম: অরুণা বিশ্বাস

অনলাইন ডেস্ক

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী পন্থী শোবিজের নামকরা কয়েকজন তারকাদের নিয়ে গঠিত হয় একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘আলো আসবেই’ নামক সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের বেশ কিছু স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন— চিত্রনায়ক ফেরদোস, রিয়াজ, অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, অভিনেতা সাজু খাদেমসহ আরও অনেকে। ওই গ্রুপের সক্রিয় সদস্যদের মধ্যে অন্যতম অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস।

 

সেই গ্রুপে অরুণা বিশ্বাস বলেন, আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়ার মতো ভয়ংকর কথা। স্ক্রিনশটগুলো ফাঁস হওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়। এর মাঝেই জানা গেছে, খুব গোপনে দেশ ছেড়ে কানাডায় পাড়ি দিয়েছেন অরুণা বিশ্বাস।  

এসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন অরুণা বিশ্বাস।

সেখানে এই অভিনেত্রী বলেন, আমরা কিন্তু সেখানে কোনো বাজে কথা বলিনি। আমরা কিন্তু সবসময় বলেছি ছাত্রদের সঙ্গে বসেন। কথা বলেন। আমরা তো আর নীতিনির্ধারণী কেউ না। সেখানে বলা হয়েছে হাসপাতালে আগুন। ওখানে কেউ ঢুকতে পারছে না।

আমি বলেছি গরম জল দিলেই হয়। গরম জল তো কামান থেকে দেয়। জলকামান লিখি নাই আর কি। ওখানেই বোধ হয় মিসটেক হয়েছে। কামানে যে গরম জল থাকে সেটার কথা বলেছি।

সাক্ষাৎকারে একপর্যায়ে অরুণা বিশ্বাসের কাছে জানতে চাওয়া হয়, একটা কথা শোনা যাচ্ছে, আপনি নাকি বিটিভির মহাপরিচালক হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এটা কি সত্য?

উত্তরে তিনি বলেন, 'নাহ। আমি বিটিভির ডিজি হতে চাই নাই। এটা তো হওয়া সম্ভব না। আমি ডিরেক্টর অব প্রগ্রাম হওয়ার জন্য বলেছিলাম আগের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীকে। উনি বলেছিলেন, এটা তো প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। এইটুকুই। আমি আসলে কাজ করার জন্যই হতে চেয়েছিলাম'।

অরুণা বিশ্বাসের কাছে আরও জানতে চাওয়া হয়, আন্দোলনে ছাত্রদের পাশে না দাঁড়িয়ে বিটিভি ও মেট্রো রেলের পাশে দাঁড়ালেন?

জবাবে তিনি বলেন, সত্যি কথা হলো আমি তখন অসুস্থ ছিলাম। পাঁচ দিন কোনো খবর নিতে পারিনি। ইন্টারনেট যখন বন্ধ ছিল, তখন। ওই সময় বাচ্চাদের সঙ্গে যে এতকিছু হয়েছে জানতাম না।

আরও পড়ুন: স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল 'স্ক্রিনশট' নিয়ে মুখ খুললেন পরীমনি 

অভিনেত্রী আরও বলেন, আমরা কেউ কিন্তু ছাত্রদের বিপক্ষে ছিলাম না। আমাদের মিডিয়ার লোকজন তাদের বিপক্ষে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে। আমরা সন্ত্রাসীদের কথা বলেছি, ছাত্রদের কথা না। সবশেষে তাকে ঘিরে বিতর্কিত হয়, এমন কিছু না লেখার জন্য অনুরোধও করেন অরুণা বিশ্বাস।

আরও পড়ুন: ছাত্রদের ওপর ‘গরম পানি ঢালা’ পরামর্শদাতার গোপনে দেশত্যাগ

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর লক্ষ্যে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছিলেন- সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, অরুণা বিশ্বাস, ফেরদৌস ছাড়াও ছিলেন রিয়াজ, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, আশনা হাবীব ভাবনা, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, হৃদি হক, ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, লিয়াকত আলী লাকী, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, রওনক হাসান, আহসানুল হক মিনু, গুলজার, এস এ হক অলীকসহ অনেকে।

news24bd.tv/TR