চাকরি ছাড়তে বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হয় জাপানে 

সংগৃহীত ছবি

চাকরি ছাড়তে বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হয় জাপানে 

অনলাইন ডেস্ক

জাপানের মানুষ প্রচন্ড রকম পরিশ্রমী। অন্য যেকোনো দেশের মানুষের তূলনায় তারা অনেক বেশি পরিশ্রম করেন। মাত্রাতিরিক্ত কাজ করার কারণে প্রতি বছর প্রায় দশ লাখ মানুষ জাপানে মারা যান বলেও জানা গেছে।  

কাজ পাগল দেশটিতেই কাজ থেকে ছুটি নেওয়া বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

আরও কষ্টসাধ্য কাজ ছেড়ে যাওয়া। চাকরি ছাড়তে হলে জাপানে রীতিমতো বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিতে হয়।   

২৪ বছর বয়সী ইউকি ওয়াতানাবে প্রতিদিন ১২ ঘন্টা অফিসে পরিশ্রম করতেন এবং এটি একটি ছোট দিন হিসাবে বিবেচিত হয় জাপানে। জাপানে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত কর্মদিবসকে সর্বনিম্ন ধরা হয়।

মাঝেমধ্যে অফিস থেকে তিনি রাত ১১ টায় বের হন। অতিরিক্ত কাজের চাপ থেকে রেহাই পেতে তিনি চাকরি ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু সমস্যা এখানেই।  

জাপানে কাজ থেকে কিছুদিনের ছুটি নেওয়া যথেষ্ট জটিল প্রক্রিয়া। কোনো কর্মচারী পদত্যাগ করতে চাইলে বিষয়টিকে অসম্মানের চূড়ান্ত রূপ হিসাবে দেখা হয় দেশটিতে। জাপানে কর্মজীবিরা দীর্ঘ সময় ধরে একই কাজের সাথে যুক্ত থাকেন।  

পদত্যাগ করতে চাইলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্ষুব্ধ হয়ে বসের পদত্যাগপত্র ছিঁড়ে ফেলা এবং কর্মচারীদেরকে থাকতে বাধ্য করা এখানে নতুন নয়।  


ওয়াতানাবে তার আগের চাকরিতে অসন্তুষ্ট ছিলেন, বলেছিলেন যে তার সাবেক বস প্রায়ই তাকে উপেক্ষা করতেন, তাকে খারাপ বোধ করাতেন। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করার সাহস পাননি। তিনি বলেন, "আমি চাইনি যে আমার প্রাক্তন নিয়োগকর্তা আমার পদত্যাগ অস্বীকার করুক এবং আমাকে দীর্ঘকাল কাজে রাখুক। "

শেষমেষ এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসার তিনি একটি উপায় খুঁজে পেয়েছিলেন। তিনি একটি সংস্থার শরণাপন্ন হয়েছিলেন যারা কর্মচারীদের চাকরি ছেড়ে দিতে সহায়তা করে।  
অনেক জাপানি কর্মী এই প্রক্সি ফার্মগুলিকে তাদের চাপমুক্ত পদত্যাগ করতে সহায়তা করার জন্য ভাড়া করে থাকেন।

কোভিডের আগেও এই ধরণের ফার্মগুলোর অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, মহামারীর পরে এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে। দেশ জুড়ে পদত্যাগকারী সংস্থাগুলির সংখ্যা সম্পর্কে কোনও সরকারী গণনা নেই, তবে দিন দিন এই ফার্মের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে কাজ পাগল এই দেশটিতে। সূত্র: সিএনএন
 

news24bd.tv/এসএম

এই রকম আরও টপিক