শেরপুরে জন্মাষ্টমীতে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

শেরপুরে জন্মাষ্টমীতে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে শহরের গোপাল জিউর মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত র‌্যালিটি বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় গিয়ে শেষ হয়।

ওই সময় হিন্দু ধর্মীয় শিশু-কিশোররা শ্রীকৃষ্ণ ও রাধা সেজে র‌্যালিতে অংশ নেয়। দেশে চলতি বন্যার কারণে দুর্গতদের সমবেদনা জানিয়ে জন্মাষ্টমী উৎসবটি অনাড়ম্বরভাবে পালন করা হয়।

এর আগে মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. মনিরুল হাসান।

জেলা হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হোসেন পিপিএম, জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি মো. মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার, সদস্য সচিব সুব্রত চন্দ্র দে প্রমুখ।

জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, বিগত দিনে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো আমরা তখন স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে ভাই ভাইয়ের মতো চলাফেরা করেছি।

কোন হিন্দু ভাই-বোন নির্যাতনের শিকার হয়নি। বর্তমানে স্বৈরাচারী হাসিনার সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। এ সময়েও আমরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশে থেকেছি, এখনো আছি, আগামীতেও থাকবো। শেরপুরে এখন পর্যন্ত কোন হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা নির্যাতন বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের দেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু বানিয়ে তাদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের বক্তব্য হলো, দেশে কোন সংখ্যালঘু বলতে কোন শব্দ নেই, সবাই বাংলাদেশী।

তাই আমি মনে করি এদেশের সকল হিন্দু-খ্রিস্টান বৌদ্ধ যারা রয়েছে তারা সবাই বাংলাদেশি, সংখ্যালঘু নয়। আমরা আপনাদের পাশে আছি, আগামীতেও থাকবো। আপনাদের যেকোনো সমস্যায় আমাদের জানাবেন। দলের কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি সহ অন্য কোন অনিয়মের খবর পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. খোরশেদ আলম, বিএনপি নেতা মামুনুর রশিদ পলাশ, আবু রায়হান রুপন, মো. আতাহার আলী, শফিকুল ইসলাম মাসুদ, প্যানেল মেয়র হাবিবুর রহমান হবি, শফিকুল ইসলাম গোল্ডেন, আতাহার হোসেন আতা, সাইফুল ইসলাম, হাসানুর রেজা জিয়া প্রমুখ।

news24bd.tv/SC