এবার পাকিস্তানে এমপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) পাকিস্তানের উত্তর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ এই তথ্য জানিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসা ওই রোগীদের মধ্যে প্রথমে ভাইরাল সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছিল বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসটির একটি নতুন রূপ শনাক্ত হওয়ার পর একে ‘খুব উদ্বেগজনক’ উল্লেখ করে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
পাকিস্তানে এর আগেও মাংকিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোগীদের মধ্যে কোন ধরনের এমপক্স ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়।
খাইবার পাখতুনখোয়ার স্বাস্থ্য পরিষেবার মহাপরিচালক সেলিম খান বলেছেন, ‘রোগীদের মধ্যে দুজনের এমপক্স হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তবে পাকিস্তানের জাতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘পাকিস্তানে একজনের এমপক্সে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা জানা গেছে। ’
মাংকিপক্স ভাইরাসজনিত এ সংক্রমণ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআরসি) পর মধ্য ও পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতেও ছড়িয়েছে। মাংকিপক্স হিসেবে পরিচিত অত্যন্ত সংক্রামক এই রোগের প্রাথমিক প্রাদুর্ভাব চলাকালে কঙ্গোয় অন্তত ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়।
ডাব্লিওএইচও বুধবার আফ্রিকার প্রাদুর্ভাবকে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের একটি জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সতর্ক করেছে।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বর্তমান প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে কঙ্গোতে ২৭ হাজার আক্রান্ত এবং এক হাজার ১০০ এর বেশি মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। মাংকিপক্স ভাইরাস প্রথম পশু থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়ার পর এখন মানুষ থেকে মানুষেও ছড়াচ্ছে। এমপক্স ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ যেমন, যৌন সম্পর্ক, গায়ে গা লাগা ও অন্য জনের খুব কাছে গিয়ে কথা বলা বা নিঃশ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে ছড়ায়।
এই রোগের সংক্রমণে জ্বরের মতো লক্ষণ দেখা দেয়, চামড়ায় ক্ষত তৈরি হয় আর এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত প্রতি ১০০ জনের মধ্যে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়।
news24bd.tv/DHL