শেরপুুরের শ্রীবরদীতে পাওনা টাকা চাওয়ায় নানার লাঠির আঘাতে নাজমুল ইসলাম (৩২) নামে নাতি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার তাতিহাটি ইউনিয়নের চককাউরিয়া বনপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত নাজমুল ওই গ্রামের রহুল আমিনের ছেলে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী ও নানীর ছোটভাই জাফর মিয়া (৪৫) এবং ভাবী রেনুকা বেগমকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে প্রাইভেটকার কেনার জন্য মৃত আব্দুল হকের ছেলে জাফর মিয়া তার বড় বোন মাজেদা বেগমের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নেয়। সম্প্রতি ওই পাওনা টাকা নিয়ে মাজেদা বেগমের ছেলে নাজমুল ইসলামের সাথে তার নানা জাফর মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় জাফর মিয়া ঢাকা থেকে বাড়ি এসে পরিকল্পিতভাবে নাজমুলের বাড়িতে গিয়ে তার ওপর হামলা করে। এতে গুরুতর আহত হয় নাজমুল।
ওইসময় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাতেই মারা যায় নাজমুল। পরে পুলিশ নিহত নাজমুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। একইসাথে অভিযান চালিয়ে নিহতের নানা জাফর মিয়া ও তার ভাবী রেনুকাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই ইয়াছিন হোসেন বাবলু বাদী হয়ে জাফর ও রেনুকা বেগমসহ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহতের নানী আবেদা বেগম বলেন, আমার নাতি পাওনা টাকা চাইছে। এজন্য হঠাৎ করে জাফর, আইয়ুব আলী, সোহাগ ও সোহান বাড়িতে আইসা হামলা করে। আমরা ফেরাতে গেলে আমগরেও মারছে। আমরা হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
news24bd.tv/তৌহিদ