৬৫ দিন বন্ধ থাকার পর সাগরে মাছ ধরা শুরু হচ্ছে আজ

সংগৃহীত ছবি

৬৫ দিন বন্ধ থাকার পর সাগরে মাছ ধরা শুরু হচ্ছে আজ

অনলাইন ডেস্ক

৬৫ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও সাগরে মাছ ধরা শুরু হচ্ছে আজ। চট্টগ্রামসহ সারা দেশ থেকে ২৬৫টি ইন্ডাস্ট্রিয়ালি ফিশিং ভেসেল এবং ৩০ হাজারেরও বেশি ইঞ্জিনচালিত মৎস্য নৌযান সাগরে মাছ শিকারে নিয়োজিত হবে। এসব নৌযান ও মৎস্যজীবীরা তাঁদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। ইঞ্জিনচালিত মৎস্য নৌযান এবং ফিশিং ভেসেল নিয়ে পুরোদমে প্রস্তুত মত্স্যজীবীরা।

চট্টগ্রামে প্রায় ৪০ হাজার মৎস্যজীবী সাগরে যাবেন। তবে আবহাওয়ার দপ্তর সাগরে লঘুচাপের কারণে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত ঘোষণা করেছে। এছাড়া সরকারি ছুটি ও কারফিউর কারণে অফিস বন্ধ থাকায় ফিশিং ভেসেলগুলো সেইলিং পারমিশন সংগ্রহ করতে পারেনি। ফিশিং ভেসেলগুলো সেইলিং পারমিশন না পাওয়ায় মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে সাগরে যেতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

তবে অন্য যান্ত্রিক নৌযানগুলোর ক্ষেত্রে এই সমস্যা নেই।

সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, অফিস কার্যক্রম শুরু হলে ইন্ডাস্ট্রিয়ালি ফিশিং ভেসেলগুলো তাদের সেইলিং পারমিশন সংগ্রহ করতে পারবে। সাগরে মাছের প্রজনন মৌসুমে টানা ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়।

মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৬৫ দিনের অলস সময় কাটিয়ে ফিশিং ভেসেল ও নৌযানগুলো সাগরে মাছ শিকারের উৎসবে নেমে পড়বে।

এরই মধ্যে জাল মেরামত, নৌকা মেরামত, ফিশিং ভেসেলের লুব অয়েল পরিবর্তন, জ্বালানি তেল নেওয়া, জেলেদের খাবারদাবারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ এবং বরফের সংস্থানসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কমপক্ষে সাত দিন থেকে অন্তত ১৫ দিনের জন্য একেকটি নৌযান সাগরের পথে যাত্রা করবে।

সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির মহাসচিব বাবুল সরকার বলেন, ‘দীর্ঘ ৬৫ দিন পর আজ সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার দিন। এর মধ্যে ৩ নম্বর সিগন্যাল ঘোষণায় আমরা একটু সতর্ক। এর পরও অনেক নৌযান সাগরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। কারফিউ ও সরকারি ছুটি মৎস্য শিকারে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ’

ইন্ডাস্ট্রিয়ালি ফিশিং ভেসেলের মালিক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাছ শিকারে যাওয়ার জন্য ভেসেলগুলো প্রস্তুত। কিন্তু আবহাওয়া বিভাগ এরই মধ্যে ৩ নম্বর সিগন্যাল দিয়েছে। এই সিগন্যালের মধ্যে সাগরে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া ফিশিং ভেসেলগুলোর সাগরে যাওয়ার জন্য যে সেইলিং পারমিশন নিতে হয় তা অফিস বন্ধ থাকায় নেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে আমাদের সমুদ্রযাত্রাও প্রায় অনিশ্চিত। ’

সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালক ড. খালেদ কনক বলেন, ৬৫ দিন পর জেলেরা সাগরে যাবেন। টানা ৬৫ দিন মাছ শিকার বন্ধ থাকায় জেলেরা সুফল পাবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

news24bd.tv/DHL

এই রকম আরও টপিক