সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী সকল কালাকানুন বাতিল, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিসহ সাংবাদিক হত্যার বিচার, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ণ এবং সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের নামে বানোয়াট নিউজ পরিবেশনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাংবাদিক নেতারা।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, যারা ফ্যাসিবাদের ধূসর হয়ে সাংবাদিকতার গলা টিপে ধরেছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সাংবাদিকতাকে স্বাধীন হিসেবে ছেড়ে দিতে হবে, এই সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
বিএফইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিজয়ের পর যারা চরিত্রহননের উদ্দেশ্যে নেমেছে। এ সব অভিযোগ নিয়ে ৩ সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
রহুল আমিন গাজী বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকার বিদায় হওয়ার পরও সাংবাদিক সমাজ অধিকার ফিরে পায়নি। কিছু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে, যা আমাদের কাম্য নয়। অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি দাবি করেন তিনি।
নেতারা বলেন, আওয়ামী সরকারের সময় ৬৪ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে, প্রতিটি হত্যার বিচার করতে হবে। সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করতে সাইবার ও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে সাংবাদিকতা স্বাধীন গণমাধ্যম হিসেবে রাখতে হবে। কারণ ৩০ ভাগ সাংবাদিককে এ মামলায় হয়রানি করা হয়েছে।
‘বিগত সরকারের আমলে যে সকল সাংবাদিক হত্যা, গুম আর হয়রানির শিকার হয়েছেন, দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। যারা সাংবাদিকতার নামে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার দালালি করেছে, তারা সাংবাদিকতাকে কুলশিত করেছে। তারা সাংবাদিকতা পেশায় থাকার কোনো অধিকার রাখে না। সাংবাদিকতা পেশা থেকে তাদের বিতাড়িত করতে হবে।
যেসকল মিডিয়া আওয়ামী সরকার সমালোচনা করেছে, সেসব মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে কিছু সাংবাদিকের দালালির কারণে পুরো সাংবাদিক সমাজের গলা টিপে ধরেছে আওয়ামী সরকার। সেসব দালালদের সাংবাদিকতা পেশায় থাকার অধিকার নাই। তাদের দুনীতি অনুসন্ধান করে, বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা।
তেল সাংবাদিকতা পরিহারের আহ্বান জানান সাংবাদিক নেতারা। সরকারকে গণমাধ্যমের দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
news24bd.tv/তৌহিদ