সাঁজোয়া যানসহ পুলিশের অবস্থান, হলে ফেরার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান আন্দোলনকারীদের

সাঁজোয়া যানসহ পুলিশের অবস্থান, হলে ফেরার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান আন্দোলনকারীদের

অনলাইন ডেস্ক

দিনভর সংঘর্ষের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলে অবস্থান নেয় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের একাংশ। এসময় তারা বেশ কয়েকটা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়া সারাদিনই ছাত্রলীগের সঙ্গে দফায় দফায় ঘটে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা। এদিকে, ছাত্রলীগ অবস্থান নেয় হলের সামনের সড়কে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাই পুলিশের একটি ফোর্স সাঁজোয়া যানসহ শহীদুল্লাহ হলের সামনে অবস্থান নিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হলের সামনে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছে।

তবে এমন পরিস্থিতিতেও হলে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রাত ৮টার দিকে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জাভেদ হোসেন শিক্ষার্থীদের হলে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করলে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে ‘দালাল দালাল’ ও ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেয়।

এসময় তারা বহিরাগতদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়ার দাবি জানান।

এমন সময়ে ঘটনাস্থলে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানও। তিনি নিরুপায় হয়ে জানান, সবকিছু তাদের হাতে নেই। তিনি বলেন, সুযোগ থাকলে আমরা বহিরাগতদের আগেই সরিয়ে দিতাম। এখন আমরা হল প্রভোস্ট ও হাউস টিউটরদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হলের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে বহিরাগত যারা আছে তাদের বের করার ব্যবস্থা করব। শিক্ষার্থীদের হলে ঢোকানোর আগে বহিরাগতদের বের করাটা কঠিন হচ্ছে।  

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এখনো শহিদুল্লাহ হলের সামনে অবস্থান করছেন। আর সেখান থেকে ৩০ গজ দূরে একটি সাঁজোয়া যান (এপিসি) নিয়ে কয়েকশ পুলিশ সদস্য অবস্থান নিয়ে আছেন।

এর আগে, আজ বিকেল ৩টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে সেই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে।

এ সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহতের খবর মিলেছে। তাদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে আটজনকে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- কাজী তাসনিম (২৪), ইয়াকুব (২৪), অমি আক্তার (২৬), আমিনুর (২২), শুভ (২৫), গিয়াস উদ্দিন (২২), নাসির (২৩) ও অপি (২২)।

এদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল এলাকায়ও উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে পিছু হটে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তখন দোয়েল চত্বর এলাকায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ এলাকায় উভয়পক্ষের মধ্য দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এখনো থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।

news24bd.tv/SHS