জাল সার্টিফিকেট চক্রের মূলহোতা আবু জাফর গ্রেপ্তার

আবু জাফর (মধ্যে)

জাল সার্টিফিকেট চক্রের মূলহোতা আবু জাফর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সার্টিফিকেট তৈরিকারী চক্রের মূলহোতা আবু জাফরকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ (দক্ষিণ)। শুক্রবার (১২জুলাই) অভিযান চালিয়ে জাফরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৬মে তেজগাঁও থানায় এ বিষয়ে একটি মামলাও হয়। সিটি ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার প্রফেসর মীর শওকত আলী বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন।


সেই মামলাতেই জাফরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ডিবির ধারণা, এই চক্রের সঙ্গে কোনো আইটি বিশেষজ্ঞ জড়িত আছে। আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির একজন প্রাক্তন শিক্ষক ও অফিস সহকারীও জড়িত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি জানান, জাফর প্রতারণা করে সিটি ইউনিভার্সিটি এবং আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে বিক্রি করত।  
জাফর ২০১১ সালে পাবনা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর ঢাকায় এসে মিরপুরে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। পরে ২০২০ সালে গার্মেন্টেসের চাকুরি ছেড়ে দিয়ে শীতের সোয়েটার ও থ্রি-পিচ বিক্রি করেন। এর মাঝেই ২০২৩ সালে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের দালাল কাইয়ুমের সঙ্গে পরিচয় হয় তার।
তখন থেকেই এনআইডি, পাসপোর্ট সংশোধন ও তৈরির কাজে লিপ্ত হন জাফর। ২০২৩ সালে তার পাশের গ্রামের বন্ধু মাসুদ, জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে বিক্রি করার প্রস্তাব দেন এবং দুইজন নকল সার্টিফিকেট বিক্রির কাজে জড়িয়ে পড়েন। গত মে মাসে সিটি ইউনির্ভাসিটির নকল সার্টিফিকেট অনলাইনে পরিচিত সুমন নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তৈরি করে অনলাইনে পরিচিত বাড্ডা এলাকার অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।  
তিনি এবং তার বন্ধু মাসুদ আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির দুইটি নকল সার্টিফিকেট তৈরি করে অনলাইনে পরিচিত মালয়েশিয়া প্রবাসী দুইজন ব্যক্তির কাছে প্রতি সার্টিফিকেট ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এবং দি কুমিল্লা ইউনিভার্সিটির জাল সার্টিফিকেট নিজে প্রাইভেট চাকরির জন্য তৈরি করেন।
এছাড়াও জাফর ও তার বন্ধু মাসুদ মিলে শতাধিক নকল জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপ ও প্রাইভেট কম্পানিতে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছে বিক্রি করতেন।  
এ ঘটনায় ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুর রহমান আজাদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন এবং জাফরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।  

জেপি বর্মা

news24bd.tv/ ডিডি