ঠাকুরগাঁও হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে শিশুকে চিকিৎসা দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঠাকুরগাঁও হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে শিশুকে চিকিৎসা দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ঠাকুরগাঁও হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে শিশুকে চিকিৎসা দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

মানুষ মানুষের জন্য, ধনী, গরীব নেই কোন ভেদাভেদ। এমনি নজির স্থাপন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পরিদর্শনে এসে জরুরী বিভাগে সোলেমান বাদশা নামের এক শিশুর হাতের চিকিৎসা (সার্জিকাল টয়লেটিং) সেবা দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মন্ত্রী ডা: সামন্ত লাল সেন।

শনিবার বিকেল ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসাপাতালের জরুরী বিভাগে এমনি একটি দৃশ্য চোখে পড়ে।

ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের ১০ নাম্বার ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর হোসেনের সন্তান সোলেমান বাদশা।

সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিকেলে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা:সামন্ত লাল সেন। হাসপাতালের প্রবেশের সময় হঠাৎ জরুরী বিভাগে যান তিনি। জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা নেয়া শিশু সোলেমানের চিৎকার শুনে এগিয়ে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এসময় শিশুটির সমস্যার কথা শুনে নিজেই হাতে গলভস পড়ে ওই শিশুর হাতটি ওয়াশ (সার্জিকাল টয়লেটিং) করে শিশুটিকে সেবা প্রদান করেন মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন পরামর্শ দেন শিশুটির পরিবারকে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এমন কর্মকান্ডে অনেকটাই খুশি ওই শিশুর বাবা-মাসহ স্থানীয়রা।  

জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা জয়নুল আবেদিন বলেন, জরুরী বিভাগে এসেছিলাম চিকিৎসা নিতে। এসে দেখি অনেক মানুষ। দেখি যে মন্ত্রী সাহেব নিজেই একজন শিশুর হাত ড্রেসিং করে দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছেন। একজন মন্ত্রী এমনটা করতে পারে ভাবিনাই কখনো। তিনি আসলেই ভালো মানুষ, একজন প্রকৃত ডাক্তার।

ওই শিশুর বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রায় বেশ কিছুদিন ধরেই আমার সন্তানের হাতে একটি ইনফেকশন হয়। হাসপাতালে এসেছিলাম ড্রেসিং করানোর জন্য। হঠাৎ জরুরী বিভাগে দেখি অনেক লোক। এরমধ্যে একজন এসে আমার বাঁচ্চার হাত দেখে নিজেই ড্রেসিং শুরু করে দিলো। এসময় শুনি যিনি আমার বাঁচ্চার হাতের ড্রেসিং ও ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছেন তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আমি সত্যি ভাগ্যবান।

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, শিশু সোলেমানকে বেশ কিছুদিন ধরেই তার পরিবারের স্বজনেরা আমাদের এখানে নিয়ে এসে ড্রেসিং করাচ্ছেন। মূলত তার হাতে একটি ফোড়া থেকে সেটি ইনফেকশন হয়েছে। আজ যখন আমাদের মন্ত্রী মহোয়দ আসেন তখন সেই শিশুটিকে দেখে নিজেই ড্রেসিং করা শুরু করে দেন। যেটাকে আমাদের মেডিকেল ভাষায় বলা হয় (সার্জিকাল টয়লেটিং)। মন্ত্রী মহোদয়ের এমনি মানবতা দেখে অনেকটাই খুশি ওই শিশুর পরিবারের স্বজনেরাসহ আমাদের হাসপাতালের সকলে।

news24bd.tv/DHL