সাজা ঘোষণার আগে ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সাজা ঘোষণার আগে ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার

অনলাইন ডেস্ক

নিউইয়র্কের প্রবেশন পরিষেবা থেকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘুষের তথ্য ব্যবসায়িক নথিপত্র গোপনের মামলায় সাজা ঘোষণার আগে এক সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) ট্রাম্পের এই প্রাক-সাজা সাক্ষাৎকার নেন এক প্রবেশন কর্মকর্তা। ৩০ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে সাক্ষাৎকারটি শেষ হয়। মামলা-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এই তথ্য জানায়।

মামলায় আগামী ১১ জুলাই ট্রাম্পের সাজা ঘোষণা করা হবে।

প্রবেশন সাক্ষাৎকারের আগের দিন রোববার লাস ভেগাসে একটি সমাবেশ করেন আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ট্রাম্প। ওই সমাবেশে তার সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।

মামলায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে নিয়মমাফিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রবেশন সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।

এটি সাজা ঘোষণা প্রক্রিয়ার একটি অংশ।

দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির অতীত অপরাধের বিষয়ে প্রবেশন সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়। এখানে তার পরিবার ও চাকরির বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয় নিয়েও তাকে প্রশ্ন করা হয়।

এদিকে মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে, সাধারণত নিউইয়র্কের আদালতে ব্যক্তিগত উপস্থিতির মধ্য দিয়ে প্রবেশন সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। কিন্তু ট্রাম্পকে তা করতে হয়নি। তিনি ফ্লোরিডায় তার মার-এ-লাগো রিসোর্টে বসে ভিডিও কলের মাধ্যমে প্রবেশন সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

ট্রাম্পের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চেউং বলেছেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তার আইনি দল এই মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

ট্রাম্প প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি অপরাধের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

দীর্ঘ পাঁচ সপ্তাহের শুনানির পর গত ৩০ মে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেন নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের একটি আদালত। মামলায় আনা ৩৪টি অভিযোগের সব কটিতে দোষী সাব্যস্ত হন ট্রাম্প।

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। ব্যবসায়িক নথিপত্রে এ-সংক্রান্ত তথ্য গোপন করার মামলায় গত সপ্তাহে নিউইয়র্কের একটি আদালত ট্রাম্পকে ৩৪টি অভিযোগের সব কটিতে দোষী সাব্যস্ত করেন।

ট্রাম্প যেসব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তাতে তার সর্বোচ্চ চার বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিনি একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট হওয়ার এবং বয়সের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ট্রাম্পকে কারাদণ্ড না দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

এদিকে মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী এই মামলায় যদি ট্রাম্পের কারাদণ্ডও হয় তারপরও তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে কোনো বাঁধা থাকবে না।

news24bd.tv/SC