দেশের গণতন্ত্র এখনো ম্যাচিউর হয়নি: সিইসি

দেশের গণতন্ত্র এখনো ম্যাচিউর হয়নি: সিইসি

অনলাইন ডেস্ক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে বড়জোর দুইজন নিহত হয়েছে। অতীতের তুলনায় ভোটে সহিংসতা কম হয়েছে। পাঁচ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে গড়ে ৩৭.৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। রাজনৈতিক বৈরিতা থাকায় ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো ভোটার ভোট না দিয়ে ফিরে যায়নি। ভোটের ব্যবস্থা আরও সংস্কার করতে হবে। কীভাবে হয় তা হবে জানি না।

আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন ভবনে রিপোর্টাস ফোরাম ফর ইলেকশন এন্ড ডেমোক্রেসি আয়োজিত আরএফইডি টক অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, রাজনীতিতে বির্তক থাকতে পারে, কিন্তু কিছু বিষয় ঐক্যমত থাকা প্রয়োজন। নির্বাচন হওয়ার ৫ মাস পরও রাজনৈতিক বিরোধের বরফ গলেনি, তাদের মধ্যে সংলাপের প্রয়োজন।

সিইসি বলেন, ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো কমিশনের কাজ নয়। এর দায় আমাদের নয়। রাজনীতির ওপর মানুষের ১০০ শতাংশ আস্থা নাই।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো ম্যাচিউর হয়নি। কমিশন সৎ থেকে দায়িত্ব পালন করেছে। আমরা রাতের আঁধারে কী টাকা নিয়েছি? আমাদের একাউন্ট চেক করুন! কেন আমাদের ওপর জনগণের আস্থা থাকবে না। এবারের ভোটে কমিশন সকালে ব্যালেট পেপার গেছে।

বড় রাজনৈতিক দল যদি ভোটে না আসে তাহলে ইনক্লসিভের ঘাটতি থাকে। যেহেতু তারা আসে নাই সুতরাং তাদের কোনো অভিযোগ আমরা আমলে নেব না’, বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, এনআইডি হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রের। এটা নিয়ে আমাদের কিছু করার নাই। যদি সংসদ বলতো ভোটের ব্যবস্থা করবে স্বরাষ্ট্রে, তখন আমি পদত্যাগ করব। কারণ ভোট করা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের পরামর্শ থাকবে- ইভিএমে ভোটদানের।

বিগত নির্বাচন ইনক্লসিভ হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল না। ভোটে ডামি প্রার্থী থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংকট। কিন্তু আইনে ডামি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার  কিছু করার নাই।

এনআইডি নিয়ে যারা কারসাজি করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এনআইডি জালিয়াতি ঠেকাতে আমেরিকাও পাচ্ছে না।

বৈরিতা ভুলে মৌলিক প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোকে বলব আপনারা সমঝোতা ও সংলাপ বসুন। তারা যদি অমীমাংসা না করেন তাহলে এই অচল ব্যবস্থা একশ বছর ধরে চলবে। তাদের বাস্তবতা উপলব্ধি করে সমাধানে আসা উচিত’, পরামর্শ দেন সিইসি।
 

সিইসি বলেন, দেশের সার্বিক নির্বাচন ব্যবস্থার আরও উন্নয়ন প্রয়োজন, তবে তা কীভাবে হবে, এ জন্য গবেষণার প্রয়োজন।

বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনও সুসংহত হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভারতের গণতন্ত্র একটা শক্ত অবস্থানে গেছে; যেহেতু বাংলাদেশ অল্প কয়েক বছর ধরে গণতন্ত্রের পথে হাঁটছে, তাই এটাকে নিউ ডেমোক্রেসি বলা যেতে পারে।

‘গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে ইভিএম প্রয়োজন, আমরা যেহেতু সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে মেনে নিচ্ছি তাই নির্বাচনেও প্রযুক্তির প্রয়োজন আছে’, বলেন হাবিবুল আউয়াল।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক