নারীর ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে বোঝা যাবে অর্থনীতির অবস্থা

অর্থনীতির পতনের উত্তর পাওয়া যাবে নারীর ঠোঁটের দিকে তাকালে।

নারীর ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে বোঝা যাবে অর্থনীতির অবস্থা

অনলাইন ডেস্ক

অর্থনীতির পতন হচ্ছে কিনা সেটি আমরা কিভাবে জানবো? উত্তর পাওয়া যাবে নারীর ঠোঁটের দিকে তাকালে।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন ভূখণ্ডে আল কায়েদার সন্ত্রাসী হামলার পর সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার সময় লিপস্টিক ইনডেক্স তৈরি করেন ইস্তি লডারের চেয়ারম্যান লিওনার্ড লডার। এই ইনডেক্স অনুযায়ী, অর্থনীতির সাথে লিপস্টিক ক্রয়ের সম্পর্ক পুরোপুরি উল্টো। অর্থনীতি যখন নিচের দিকে যায় তখন নারীদের লিপস্টিক ক্রয়ের পরিমাণ উপরের দিকে যায়।

১১ সেপ্টেম্বরের পর যুক্তরাষ্ট্রে লিপস্টিক বিক্রির পরিমাণ বেড়েছিল ১১ শতাংশ, এবং গ্রেট ডিপ্রেশনের সময় এটি বেড়েছিলো ২৫ শতাংশ।

২০২০ সালে কোভিডের সময় ইস্তি লডারের প্রধান নির্বাহী ফ্যাব্রিজিয়ো ফ্রেদা জানিয়েছিলেন যে, লিপস্টিক ইনডেক্স পরিবর্তিত হয়ে ময়েশ্চারাইজার ইনডেক্সে পরিণত হয়েছে। করোনাকালীন অর্থনীতির দূরবস্থার সময় মানুষ ময়েশ্চারাইজার কেনার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছিলো, যা অতীতে লিপস্টিক বিক্রি বাড়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত।

এ বিষয়ে সিএনএনের সাথে কথা বলেছেন ওভারিওন ব্র্যান্ডের প্রধান নির্বাহী নীলা মন্টোগোমারি।

তিনি জানান, মানুষ যখন চিন্তা করে কোথায় খরচ কমাবে তখন সর্বপ্রথম সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে খরচ কমায়। সৌন্দর্য শিল্পের সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে এখানে সবসময় উদ্ভাবন চলছে এবং নতুন নতুন প্রোডাক্ট তৈরি হচ্ছে।

নীলা জানান, সৌন্দর্য শিল্প সব বয়সের মানুষের কাছে সব সময়েই গ্রহণযোগ্যতা পাবে। এতোদিন ত্বকের সৌন্দর্য প্রাধান্য পেয়েছে, এখন আবার মেকআপ প্রাধান্য পাচ্ছে। দাম যাই হোক না কেনো মানুষ এসকল পণ্য কিনবেই, কারণ প্রতিটি মানুষই নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে চায়।

সৌন্দর্য শিল্পের বাজার নিয়ে নীল বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় ট্রেন্ড। মানুষ রাসায়নিক পদার্থ গ্রহণ না করে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি পণ্যের দিকে আগ্রহ দেখাচ্ছে। মানুষ এখন সৌন্দর্য পণ্যের উপাদান সম্পর্কে অনেক কিছু জানে, এবং তারা বুঝে-শুনে খরচ করে এবং দাম বেশি হলেও ত্বকের জন্য উপকারী পণ্যটিই কেনে।

news24bd.tv/ab

এই রকম আরও টপিক