নিলামে উঠছে ১০৭ বিলাসবহুল গাড়ি

নিলামে উঠছে ১০৭ বিলাসবহুল গাড়ি

বাগেরহাট প্রতিনিধি

জাপান থেকে মোংলা সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা বিভিন্ন নামিদামি ব্রান্ডের বিলাসবহুল ১০৭টি রিকন্ডিশন গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে। আমদানির পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাড় না হওয়ায় মোংলা কাস্টমস হাউস গাড়িগুলো বিক্রির জন্য নিলামে তুলছে।

যে কেউ মঙ্গলবার (৫ জুন সকাল) থেকে ৬ জুন সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ কাস্টমসের ই-অকশন ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে নিলামে অংশ নিতে পারবেন।

নিলামে ওঠা এসব গাড়ির মধ্যে নিশান, পাজারো, এক্সিও হাইব্রিড, পিয়ার্স হাইব্রিড, টয়োটা ভিজ, প্রোবক্স, এ্যাকুয়া হাইব্রিড, টয়োটা হাইব্রিড, করোলা ফিল্টার, হাইয়েচ, মাইক্রো ও অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১০৭টি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে।

নিলামে ওঠা গাড়ির মধ্যে ২০, ২১ ও ২২ সালের বিভিন্ন মডেলের বিলাসবহুল গাড়িও রয়েছে। মোংলা কাস্টমস হাউসের ওয়েবসাইটে নিলামের জন্য গাড়ি ও অন্যান্য পণ্যের চূড়ান্ত ক্যাটালগ প্রকাশ করে। অনলাইনে প্রকাশ পাওয়া গাড়ি ছড়াও কিছু গ্যাস সিলিন্ডার এবং অন্যান্য পণ্যও নিলামে ওঠানো হয়েছে।

মোংলা কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মাহফুজুর রহমান জানান, মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা এসব রিকন্ডিশন গাড়ি ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করানোর নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা তা করেনি।

এরপর আমদানিকারকদের আরও ১০ কার্যদিবস সময় দেয়ার পরও গাড়ি ছাড় না করায় নিয়মানুযায়ী পর্যায়ক্রমে নিলামে ওঠানো হচ্ছে এসব গাড়ি। নিলামে অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশের পর গাড়িগুলো বিক্রি হবে। মোংলা কাস্টমের রাজস্ব আয়ের শতকরা ৫২ শতাংশ আসে আমদানি করা গাড়ির শুল্ক থেকে। দীর্ঘদিন আমদানি করা গাড়ি বন্দরে পড়ে থাকলে অন্যান্য পণ্য রাখায় সমস্যা তৈরি হয়। নিলাম প্রক্রিয়া চালু রাখলে গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের সুবিাধার পাশাপাশি সঠিক সময় সরকারের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার মো. কুদরত আলী জানান, জাপান থেকে মোংলা বন্দর দিয়ে রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি শুরু হয় ২০০৯ সালের ৩ জুন। সেই থেকে এ পর্যন্ত মোংলা বন্দর দিয়ে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৯৯টি রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি করা হয়। যা মোট আমদানি গাড়ির শতকরা ৬০ ভাগ।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক