হাইকোর্ট থেকে খালাস পেলেন র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আলোচিত সেই চিকিৎসক ইশরাত রফিক ইশিতা। বিচারপতি আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন। ৩ বছর আগে গ্রেপ্তারের পর ব্রিফিং করে ইশিতার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগ আনে র্যাব।
এরইমধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এক বছরের সাজা খেটেছেন ডা. ইশিতা।
রায়ে উচ্চ আদালত বলেন, কোন এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার চাপেই তাকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তদন্ত কমিটি করার নির্দেশও দিয়েছেন হাইকোর্ট।জানা যায়, শিকাগো স্কুল অফ প্রফেশনাল ফিজিওলজির পিএইচডি গবেষক ডা.ইশরাত আলম ইশিতা। যিনি একই আরো তিনটি ইউনিভর্সিটিতে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পান।
এতে উল্লেখ করা হয় ডা. ইশিতা নিজেকে তরুণ চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষক, বিশিষ্ট আলোচক, ডিপ্লোম্যাট, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। চিকিৎসক ছাড়া তার সব পরিচয়ই ভুয়া। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রথমে শাহ আলী থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরো একটি মামলা করা হয়।
ঐ বছর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ১ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। কিন্তু নানা আইনি জটিলতায় ১৪ মাস জেলে থাকতে হয় তাকে। ইশিতা জানান, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সবই সাজানো। পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে ফাঁসিয়েছেন কোন এক কর্মকর্তা।
জেল থেকে বেরিয়ে তার সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন ইশিতা। রায়ে উচ্চ আদালত বলেন, কোন এক অজানা উর্ধ্বতন কর্মকর্তার চাপে তাকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা খুজে বের করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ইশিতার আইনজীবী শেখ কানিজ ফাতেমা জানান, এই মামলার এজাহারে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় আদালত খালাস দিয়েছেন। আদালত বলেন, এভাবে চলতে থাকলে দেশে কোন মেধাবী থাকবে না, সবাই বিদেশে চলে যাবে।
তিনি আরও বলেন, তার মক্কেল ইশিতাকে মিরপুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ৫দিন পর ব্রিফ করে ইশিতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়। যার কোনটির সাথে সম্পৃক্ততা নেই তার।
news24bd.tv/DHL