ব্যাংকিং খাতকে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র ১০ সুপারিশ

‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ছায়া সংসদে উপস্থিত অতিথি ও বিজয়ী বিতার্কিকরা

ব্যাংকিং খাতকে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র ১০ সুপারিশ

অনলাইন ডেস্ক

ব্যাংকিং খাতকে আরও গুছিয়ে নিতে ১০টি সুপারিশ করেছে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’। শনিবার (১৮ মে) বিএফডিসিতে ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ আয়োজিত ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এসব সুপারিশ করা হয়।  

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। তারা ব্যাংক একীভূতকরণের কিছু সমালোচনাসহ ব্যাংক সেক্টর নিয়ে কিছু সমালোচনা তুলে ধরেন।

 

১০ সুপারিশ

১. ব্যাংক থেকে নামে বেনামে আত্মসাৎকৃত অর্থ আদায়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে প্রয়োজনে প্রচলিত আইনের সংস্কার করে অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করা।

২. অর্ধিক খাতে জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিতে স্বাধীন ব্যাংক কমিশন গঠন করা।  

৩. ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিসহ ঋণ খেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের নামের তালিকা জাতীয় সংসদে প্রকাশ করা।  

৪. আর্থিক খাতে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও ঋণ খেলাপিদের সব ধরনের নাগরিক সুবিধা সীমিতকরণ, বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া এবং নতুন ঋণ না দেওয়াসহ দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করা।

 

৫. যারা ব্যাংকগুলোকে দুর্বল করে লুটপাট করেছে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা।  

৬. দুর্বল ব্যাংকগুলোর আমানত গ্রহণ ও বিতরণ ছাড়া অন্য সব কার্যক্রম বন্ধ করে এর ক্ষতির দায় কে নেবে তা স্পষ্ট করা।  

৭. বাংলাদেশ ব্যাংকে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা নিরসন করা।  

৮. রিজার্ভ চুরির জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে অর্থ প্রাপ্তির পরিমাণ ও অগ্রগতি সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করা।  

৯. ব্যাংকের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা আলাদা করা।  

১০. ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার সুফল পেতে গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা। যাতে কোনো পক্ষপাতমূলক সংবাদের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক তৈরি না হয়।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞ মাহাবুব এইচ মজুমদার, সাংবাদিক দৌলত আক্তার মালা ও সাংবাদিক মো. আলমগীর হোসেন। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

news24bd.tv/আইএএম