পুতিন-শি বৈঠক আজ, কী নিয়ে আলোচনা?

শি জিন পিং ও ভ্লাদিমির পুতিন

পুতিন-শি বৈঠক আজ, কী নিয়ে আলোচনা?

অনলাইন ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং আজ শুক্রবার (১৭ মে) দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। পুতিনের দুই দিনের চীন সফরের শেষ দিনে আজ হেইলংজিয়াং প্রদেশের হারবিনে এ বৈঠক হবে। বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হবে তা ইতোমধ্যে সংবাদ মাধ্যমে নানাভাবে উঠে এসেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, দুই প্রেসিডেন্ট ক্ষতি করার জন্য একত্রিত হচ্ছেন।

  

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, চীনের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বের একটি ‘নতুন যুগ’ সূচনার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর এবার দুই দেশের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছে রাশিয়া। আশা করা হচ্ছে, বৈঠকে চীনের উত্তর-পূর্বে রুশ সীমান্তের কাছে বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব তুলে ধরবেন পুতিন।  

ইউক্রেনে টানা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চালানো সামরিক অভিযানের কারণে রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছে রাশিয়া।  তাই দেশটির যুদ্ধ অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে ক্রমবর্ধমানভাবে চীনের দিকে ঝুঁকছেন পুতিন।

রাষ্ট্রীয় সফরে বৃহস্পতিবার উভয় দেশের মধ্যে অংশীদারত্বের একটি ‘নতুন যুগ’কে স্বাগত জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন পুতিন ও শি। এ সময় পুতিনকে শি বলেন, ‘চীন-রাশিয়ার সম্পর্ক কষ্টার্জিত। তাই উভয় পক্ষকে এই সম্পর্ককে লালন ও ধারণ করতে হবে। ’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘যৌথভাবে আমাদের নিজ দেশের উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন অর্জন এবং বৈশ্বিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখতে একসঙ্গে কাজ করতে চায় চীন। ’

যৌথ এই বিবৃতিটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা করা উভয় দেশের ‘সীমাহীন’ অংশীদারিত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। ওই বছর প্রতিবেশী ইউক্রেনে কয়েক হাজার সেনা পাঠানোর কয়েক দিন আগে চীন সফর করেছিলেন পুতিন।

এদিকে পুতিনের এই সফরকে ভালোভাবে দেখছেন না প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ক্ষতি করার জন্য একত্রিত হচ্ছেন। ’ 

ট্রাম্প বলেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি-কে আমি ভালোভাবে চিনি। তারা একসঙ্গে কাজ কারার পরিকল্পনা করছে। তারা যখন একসঙ্গে হয় ক্ষতি কারার জন্য হয়। ’   

২০১৭ সালে মার-এ-লাগো রিসর্টে চীনা নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ সময় শির সঙ্গে ‘অসামান্য’ সম্পর্ক রয়েছে বলে ঘোষণা করেন ট্রাম্প। কিন্তু পরে ট্রাম্পের সঙ্গে শির সম্পর্ক খারাপ হয়। ট্রাম্প শিকে ‘শত্রু’ বলেও অভিহিত করেন।
news24bd.tv/আইএএম