অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা বন্ধের বিষয়ে যা বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন

অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা বন্ধের বিষয়ে যা বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানালেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) নিউজটোয়েন্টিফোর টেলিভিশনকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও এই টিকা দেয়া বন্ধ রয়েছে। কারণ আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই ফাইজারের টিকা ব্যবহার করে আসছি। অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা বলা হচ্ছে বাংলাদেশে আমরা এখন পর্যন্ত এমন কোনো কেস পাইনি।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারি থেকে বাঁচতে ব্যবহার করা হতো টিকা কোভিশিল্ড। তবে এতে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে স্বীকার করে নিয়ে বিশ্বব্যাপী কোভিড টিকা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এরকম যদি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিংবা উপসর্গ দেখা যায় সেটা সার্ভে করে দেখতে।

টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তাদের তৈরি কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে খুব বিরল থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (টিটিএস) এর ঘটনা ঘটতে পারে।

যার ফলে মানুষের রক্তে প্লাটিলেট কমে যায় এবং রক্ত জমাট বেঁধে যায়।

এর পরপরই অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ হাইকোর্টে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ভুক্তভোগীরা মোট ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ব্রিটিশ-সুইস কোম্পানির এমন স্বীকারোক্তির ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা গুণতে হতে পারে।

news24bd.tv/FA