প্রতিবাদী কন্ঠস্বরের প্রতি রাইসি ছিলেন কঠোর: রয়টার্স

সংগৃহীত ছবি

প্রতিবাদী কন্ঠস্বরের প্রতি রাইসি ছিলেন কঠোর: রয়টার্স

অনলাইন ডেস্ক

কট্টরপন্থী বিচারক থেকে অবিচল প্রেসিডেন্ট হয়ে উঠা ইরানের বিগত নেতা ইবরাহিম রাইসি নিজ দেশে প্রতিবাদ দমন এবং পারমাণবিক শক্তি বিষয়ক আলোচনায় ইরানের স্বার্থ আদায়ে কঠোরতার মাধ্যমে নিজেকে পরবর্তী প্রধান ধর্মীয় নেতা হওয়ার জন্য যোগ্য করে তুলেছিলেন।

নিজ দেশের রাজনীতির বেলাতেও রাইসি ছিলেন কঠোর। নির্বাচিত হওয়ার এক বছরের মাথায় তিনি নারীদের পোশাক ও আচরণের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরপ করেন। এর মাত্র কয়েক সপ্তাহের ভেতরেই হিজাব না পড়ায় গ্রেপ্তার মাহসা আমিনি নামে এক নারী ইরানের নৈতিকতা পুলিশের জিম্মায় মারা যান।

পরবর্তী মাসগুলোতে ইরানজুড়ে নারীদের বিক্ষোভ ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে সংঘটিত সবচেয়ে বড় ক্রান্তিকাল ছিলো রাইসির জন্য।

২০২১ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত এই নেতা পরমাণু বিষয়ক আলোচনায় কঠিন অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন এবং অল্প কিছু ছাড়ের বিনিময়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে ইরানকে মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য চলে যাওয়া এবং ইরানের প্রতি মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের ফলে রাইসিকে বেশ বেকায়দায় পড়তে হয়েছিলো।

২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান ও ছয়টি বিশ্ব শক্তির সাথে সম্পাদিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন এবং ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

পরবর্তীতে জো বাইডেনের প্রশাসনের সাথে ইরানের পারমাণবিক চুক্তিতে ফেরা বিষয়ক অলিখিত আলোচনাও মুখ থুবড়ে পড়েছিলো।

রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ হলেও তার সকল সিদ্ধান্তের পেছনে ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনির সমর্থন ছিলো। রাইসি নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে ইরানের সকল ক্ষমতা কট্টরপন্থীদের হাতে চলে আসে এবং এর ফলে প্রধান ধর্মীয় নেতা হওয়ার ক্ষেত্রে রাইসির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

তবে ধর্মীয় শাসনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও ইরানকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ না করতে পারার কারণে ইরানিয়ানদের কাছে রাইসির জনপ্রিয়তা কমে গিয়েছিলো বলে ধারণা রাজনীতি বিশ্লেষকদের।

news24bd.tv/ab