তুলে নিয়ে চাঁদা দাবি, ৪ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

তুলে নিয়ে চাঁদা দাবি, ৪ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

তুলে নিয়ে চাঁদা দাবি, ৪ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

অনলাইন ডেস্ক

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক তরুণকে তুলে নিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠার পর চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্র থেকে তাঁদের প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।

এই চার পুলিশ সদস্য হলেন প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ারুল ইসলাম, কনস্টেবল রেজাউল করিম ও মিলন হোসেন। জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলার গোগ্রাম বাজার থেকে সোহান নামের এক তরুণকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সোহান ক্রিকেট খেলা নিয়ে জুয়া পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সোহানের অভিযোগ, রাত ৮টার দিকে তিনি নিজের দোকান বন্ধ করে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে চারজন এসে নিজেরা পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নেন।

এরপর নাম জিজ্ঞাসা করেন। নাম-ঠিকানা বলার পর সোহানকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নেওয়া হয়। কিছু দূর যাওয়ার পর সোহানকে হ্যান্ডকাপ পরানো হয়।

এরপর সোহানকে প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পাশে পদ্মা নদীর পাড়ে নিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ সময় তাঁরা বলেন, ‘তোর বাপকে ফোন দিয়ে টাকা আনতে বল। নইলে মাদক মামলায় চালান দিয়ে দেব। ’ টাকা না দিলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বসন্তপুর-খেতুরধামের রাস্তায় ফাঁকা জায়গায় নামিয়ে দিয়ে যায়। সেখান থেকে তিনি একা গোগ্রাম বাজারে চলে যান।

পরে গোগ্রামে এএসআই আনোয়ার হোসেনকে পেয়ে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীয় লোকজন। তাঁকে উদ্ধারে পুলিশের একটি গাড়ি গেলে ইটপাটকেল মেরে গাড়িটি ভাঙচুর করেন স্থানীয়রা। তখন পুলিশের লাঠিপেটায় কয়েকজন আহত হন। পরে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন ও গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন বলেন, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। আর তদন্তকেন্দ্র থেকে চারজন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যাহার করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে।

তদন্তকেন্দ্র থেকে প্রত্যাহার হওয়া এসআই রেজাউল করিম দাবি করেন, ‘আমি কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মনে করেছে, আমাকে পুলিশ লাইনে রাখা দরকার, তাই রেখেছে। ’

 এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম  বলেন, ‘কারা এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত, তা তদন্ত করা হচ্ছে। এখন একটি ঘটনা সেখানে ঘটেছে, সে জন্য তদন্তের স্বার্থেই চার পুলিশ সদস্যকে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ’

news24bd.tv/aa