আড়াই হাজার বছর পর আবারও ‘বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি, ধম্মং শরণং গচ্ছামি, সংঘং শরণং গচ্ছামি’ জপমন্ত্র উচ্চারিত হলো ঐতিহাসিক ভাসুবিহারে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পীঠস্থান খ্যাত বগুড়ার ঐতিহাসিক ভাসুবিহারে প্রত্ন নাটক ‘মহাস্থান’ মঞ্চায়নে এই জপমন্ত্র উচ্চারিত হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী এই অঞ্চলের আড়াই হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে মঞ্চে আনলো প্রত্ন নাটক ‘মহাস্থান’। প্রায় সোয়া ২ ঘণ্টার এই নাটকে অংশ নেন সাড়ে তিন শতাধিক শিল্পী ও কলাকুশলী।
ড. সেলিম মোজাহারের রচনায় প্রত্ন নাটক ‘মহাস্থান’ এর নির্দেশনা দিয়েছেন লিয়াকত আলী লাকী। মহাস্থানের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের শৈল্পিক উপস্থাপনই এই নাটকের মূল প্রতিপাদ্য। শুক্রবার বিকেলে দু’দিনব্যাপী এই নাটক মঞ্চায়নের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক।
প্রাচীন শিকার যুগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষপটের ভিত্তিতে এই অঞ্চলে ঘটে যাওযা ঘটনা সমূহ পালা গানরূপে নাটকে ফুটে তোলা হয়। নাটক দেখতে জেলা শহর ছাড়াও আশপাশের এলাকা থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ সমবেত হন। ভাসুবিহার এলাকাটি পরিণত হয় মানুষের মিলন মেলায়।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/রউফ/তৌহিদ)