দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১১টি আসন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। তারা বলছেন, কৌশলে আসন বাগিয়ে তাদের বিপদে ফেলা হয়েছে। খোদ জাপা চেয়ারম্যান ও মহাসচিব বলছেন, কিছু এলাকায় ভোটের পরিবেশ না থাকায় টিকতে পারছেন না তারা। তবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হিড়িকের মাঝেই আছে জাতীয় পার্টির বহু প্রার্থীর উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণাও।
জানা যায়, মঙ্গলবার কাপাসিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন গাজীপুর-৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সামশুদ্দিন খান। গাজীপুর ১ ও ৫ আসন থেকেও সরে দাঁড়ান লাঙ্গলের প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন। এছাড়া হবিগঞ্জ-২, বরিশাল-২ ও বরিশাল-৫, বরগুনা-১, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনসহ মোট ১১টি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
তবে রংপুর, বগুড়া, গাইবান্ধা, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জসহ দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় জোরোসোরে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন লাঙ্গলের প্রার্থীরা।
কয়েক জায়গায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যহার করলেও, অন্যান্য জায়গায় বেশ দাপটের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন লাঙ্গলের প্রার্থীরা। এদের মধ্যে অনেকেই হেভিওয়েট প্রার্থী।
রংপুর সদর আসনে লাঙ্গলের কাণ্ডারি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। নগরীর অলিগলিসহ বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর পাগলাপীরে গণসংযোগে অংশ নেন তিনি।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জাতীয় পার্টির হেভিওয়েট আরেক প্রার্থী ও এই আসনের দুইবারের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ছুটছেন ভোটারদের কাছে।
বগুড়া-৩ আসনে লাঙল মার্কার প্রার্থী এডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার। এরই মধ্যে ভোটের মাঠে বেশ শক্ত অবস্থান তার। একই চিত্র গাইবান্ধা-১ আসনে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর ভোটের মাঠে। আসন দুটিতে জাতীয় পার্টির সমর্থনে নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহার করেছে আওয়ামী লীগ। তাই এই আসনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার।
এদিকে, তীব্র শীত উপেক্ষা করেই গাইবান্ধা-২ আসনে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন জাতীয় প্রার্টি মনোনিত প্রার্থী আব্দুর রশিদ সরকার। তবে তারও আসনে নৌকার প্রার্থী না থাকায় বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন তিনি।
news24bd.tv/আইএএম