বৈজ্ঞানিকভাবে বলা হয়, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। বর্তমান বিজ্ঞানও সেই কথাই বলে। কিন্তু অনেক সময় কাজ এবং পারিপার্শ্বিক চাপে ঘুম নিয়ে দেখা দেয় বিড়ম্বনা। অনেকেই রাতে ভালোমত ঘুমাতে না পারলেও সকাল সকাল উঠে ঠিকই কর্মক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে ছুটে চলেন।
কিন্তু কিছু উপায় অবলম্বন করলে মাঝেমাঝে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলেও তেমন সমস্যা হয়না।
সেক্ষেত্রে ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম হতে পারে শরীর ও মন ফুরফুরে রাখার দারুণ একটি কৌশল।
নিজের মস্তিষ্কের অক্সিজেন সরবরাহ ও কার্যক্ষমতা বাড়াতে ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে পারেন। আর যদি ঋতু হয় শীতকাল তাহলে গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন। যারা ঘুম কাটাতে চা কিংবা কফির উপর ভরসা রাখেন তাড়া বিকল্প হিসাবে ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন।
তবে মস্তিষ্কের তথা পুরো শরীরের সুস্থতার জন্য চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার যতোটা পারা যায় এড়িয়ে চলুন।
সকালে অবশ্যই ভারী নাস্তা করবেন। এতে করে শরীর সারাদিনের কাজের গতির জন্য তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাবার যেমন একমুঠো কাঠবাদাম, আখরোট, চাল বা আটার রুটি সাথে মৌসুমি সবজি খেতে পারেন।
দুপুরের খাদ্যতালিকায় শর্করা জাতীয় খাবার কম খেয়ে লো ফ্যাট বা প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার রাখতে পারেন। কারণ প্রোটিন মস্তিষ্কে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিডের যোগান দেয় যা কাজের প্রতি মনোযোগ সুদৃঢ় করে।
রাতের বেলা যতোটা হালকা খাবার খাবেন শরীর ততোটাই হালকা থাকবে। মনে রাখবেন, খাওয়ার পর সে খাবার হজম হতে আপনার একটু হাঁটাচলা করা উচিত। খেয়েই সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়া উচিত না।
কম ঘুম হলে আপনার মস্তিষ্ক আপনাকে অবশ্যই সংকেত দিবে। সেক্ষেত্রে মস্তিষ্কের নার্ভগুলোকে উদ্দীপিত রাখতে গান শুনতে পারেন।
news24bd.tv/SC