‘মানবাধিকার সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করে বিএনপি-জামায়াত আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করছে’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এমন কথা লিখেছেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) চেয়ারপার্সন সজীব ওয়াজেদ।
তিনি লিখেছেন, বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়ে নিরীহ মানুষদের হত্যা করছে। কিন্তু স্বজন হারানো পরিবারের কাছে ক্ষমা চায়নি। অথচ তারা মানবাধিকার সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করছে।
তিনি লিখেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালনের নামে সমাবেশ ডাকার পর সেখানে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বানচালে ১২ ডিসেম্বর থেকে অবরোধ ঘোষণা করে বিএনপি। এ ঘটনায় নিরীহ মানুষের ওপর অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার আভাস দেখা যাচ্ছে।
চলমান অগ্নিসংযোগে একাধিক ব্যক্তি দগ্ধ হয়েছেন।
তিনি লিখেন, দফায় দফায় বিএনপি-জামায়াত অবরোধ ডাকলেও তাতে জনসমর্থন দেখা যায়নি। বরং সড়কে মানুষ বেরিয়ে এসেছেন, যানবাহনও চলতে দেখা গেছে।
তিনি আরও লিখেছেন, এরমধ্যেই চোরাগোপ্তা হামলায় শতাধিক গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করা হয়, দুই হেলপার পুড়ে মারা যায়, বেশ কয়েকজন আহত এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা হতাহত হন।
পোস্টে তিনি লিখেন, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগে যারা ছেলে, মেয়ে এবং বাবা-মা সহ তাদের নিকটাত্মীয়দের জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল, সেসব পরিবারের কাছে ক্ষমা না চেয়ে তাদের মানবাধিকরের কথা বলাকে প্রহসন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরও লিখেন, অগ্নিসংযোগের হামলায় দলীয় ক্যাডারদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেনি। এমনকি অগ্নিসংযোগকারীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে এই জোট। বিশ্লেষকদের দাবি, বিএনপি জামায়াত জোট মানবাধিকারের প্রচার করার কোন নৈতিক ভিত্তি রাখে না।
সজীব ওয়াজেদ পোস্টে লিখেছেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের মধ্যে ডাকা ১১ দফা অবরোধের ঘোষণাতেও এটি স্পষ্ট, সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের উপর সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা হতে পারে। যেখানে মানবাধিকারের প্রতিটি দিক লঙ্ঘন হবে।
২০১২ থেকে ২০১৫ সালে সড়কে বিএনপি জামায়াতের অগ্নিসংযোগের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি লিখেন, ওই সময়ে শতাধিক নিরপরাধ বেসামরিক লোককে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। সেই সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এতে তিনি লিখেন, মানবাধিকার দিবসে সেসব নিহতের পরিবার বিএনপি জামায়াত জোটকে হামলার জন্য দায়ী করে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে।
news24bd.tv/কেআই