রওশন এরশাদের রাজনীতির ভবিষ্যৎ কী? 

সংগৃহীত ছবি

রওশন এরশাদের রাজনীতির ভবিষ্যৎ কী? 

মাহমুদুর হাসান

শেষ পর্যন্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ট্রেন মিস করলেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মনোনয়ন জমাদানের সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ায়, এবার এমপি হওয়ার আর সুযোগ রইলো না রওশনের। দলটির চেয়ারম্যান-মহাসচিবের যৌথ চক্রান্তেই রওশনের এমন হাল বলে দাবি তার পক্ষের নেতাদের। যদিও এ বিষয়ে নিজের ঘাড়ে কোনো দোষ নিতে রাজি নন মহাসচিব।

১৯৯৬ সাল থেকে টানা ৫ মেয়াদে জাতীয় পার্টির এমপি হিসেবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন দলটির বর্তমান প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। নির্বাচন এলেই দলের ভেতরে-বাইরে টানপোড়েন চললেও, শেষ পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনেই অংশ নিয়েছে দলটি, রওশনও হয়েছেন এমপি। সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদে ছিলেন বিরোধীদলীয় নেতা।

তবে হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পরের নির্বাচনেই বদলে যায় দৃশ্যপট।

অনুসারীদের বাদ দিয়ে একলা নির্বাচনে আসার প্রস্তাব করেন প্রত্যাখ্যান। ফলাফল এবারই প্রথম রওশন এরশাদকে ছাড়াই নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি। ৮২ বছর বয়সী প্রবীণ এই রাজনীতিবিদকে আর সংসদে দেখা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে রওশনপন্থীরা। দলের চেয়ারম্যান-মহাসচিবের দিকে অভিযোগ তুলেছেন তারা। তাদের দাবি, ঘরের লোকেরাই নির্বাচনের ট্রেনে উঠতে দিলো না রওশনকে। এমন অবস্থায় রওশন এরশাদও পাল্টা পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তারা।

এরই মধ্যে তাঁর জন্য নির্ধারিত ময়মনসিংহ-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আবু মুসা সরকার নামের একজন জাপা নেতা। সারাদেশেই মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন লাঙ্গলের টিকিটপ্রাপ্তরা। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মুজিবুল হক চুন্নু ও ঢাকা-১৭ ও রংপুর-৩ এ মনোনয়ন দাখিল করেছেন জিএম কাদের। রওশনকে নির্বাচনের বাইরে রাখার পেছনে কোনো দায় নিতে রাজি হননি মহাসচিব।

রওশন এরশাদকে আর কোনোদিন সংসদে দেখা যাবে কি না-এ নিয়ে তীব্র হতাশা আছে, ৩৩ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটির নেতাকর্মীদের মাঝে।
news24bd.tv/আইএএম